নজরবন্দি ব্যুরোঃ বাংলায় ভোট, স্লোগান এসব পিছিয়ে ফেলে আজ সারাদিন ধরে চলছে আইন, উকিল আর আদালত। হাই প্রোফাইল নেতা নেত্রীদের ঘরের দোর গড়ায় দাঁড়িয়ে পুলিশ, কেউ বা আবার নিজেই লকাপে। এসবের মধ্যেই মোড় ঘুরছে পামেলা কান্ডের। এতদিন বেশ শিরোনামে ছিল পামেলাকে ফাঁসিয়েছে রাখি বাঁধা ভাই। এবার সেই ভাই মুখ খুললেন, হুঁশিয়ারি দিলেন অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণ হলে তিনি মানহানির মামলা করবেন কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুনঃ টেটের মেধা তালিকায় দুর্নীতি, নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের!
নির্বাচনের আগে দেশের স্বরাস্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে উপস্থিত থাকালাকীন কোকেন সহ ধরা পড়েছিলেন বিজেপি নেত্রী পামেলা দাসগুপ্ত। সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষও। ঘটনার পরের দিনই সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “যদি পামেলা গোস্বামী সত্যিই দোষী হন তাহলে আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু যদি প্রমাণ হয় তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে তাহলে আন্দোলনে নামবে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির।” সেই চক্রান্তের বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন পামেলা স্বয়ং। অভিযোগের আঙুল ছিল, বিজেপিরই আরেক নেতার নামে। সোজা নাম নিয়ে কৈলাশ ঘনিষ্ঠ রাকেশই যে ফাঁসিয়েছেন তাঁকে সে কথা জানিয়েছিলেন ভরা আদালত চত্বরে।
কয়েকদিন আগে নিউ আলিপুরের এনআর অ্যাভিনিউ দিয়ে যাওয়ার সময়ে পামেলার গাড়ি ধাওয়া করে পুলিশ। সূত্রে খবর নিউ আলিপুরে নিজের আবাসনের কাছে গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে প্রায় ৮ টি গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করে পামেলা এবং তাঁর সঙ্গী প্রবীর দে’কে পাকড়াও করে। সূত্রের খবর পামেলাকে মাদক সরবরাহ করতেন প্রবীর, এবং তিনি নিজেও একজন বিজপি নেতা। পামেলার কাছে মাদক মজুত আছে এই খবর অনেক দিন ধরেই ছিল পুলিশের কাছে। অপেক্ষার পর হাতেনাতে দুজনকে পাকড়াও করেছিল কলকাতা পুলিস।
পামেলা কাণ্ডের মোড় ঘুরতে বেশি সময় নেয়নি। গত শনিবার আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন “আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি চাই সিআইডি তদন্ত হোক। কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিংহ যেন গ্রেফতার হয়। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে।” যদিও পামেলার এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন রাকেশ। তিনি জানিয়েছিলেন , এসবের কোন প্রশ্নই নেই। পামেলার সঙ্গে এককালীন ভালো সম্পর্ক ছিল। রাখিও বেঁধেছিলেন তাঁর হাতে, তবে বছর খানেক হল সম্পর্ক নেই তাঁদের।
এবার রাকেশ অভিযোগ করছেন কলকাতা পুলিশ জোর করে এইসব বলিয়ে নিচ্ছে দিয়ে। এবার কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেই মামলা করারা হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রাকেশ স্পষ্ট জানিয়েছেন , “গ্রেপ্তারির সময় পামেলা আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি। পুলিশ হেফাজতে থাকার পর অভিযোগ করেছে। ” আর সেই প্রেক্ষিতে রাকেশের অনুমান কলকাতা পুলিশ বাধ্য করছে পামেলাকে এসব বলতে। শুধু রাকেশের নামই নয়, রাকেশের নাম প্রসঙ্গে উঠে এসেছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নাম। তাতেই চটেছেন বিজেপির এই নেতা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার।