নজরবন্দি ব্যুরোঃ রচনা ব্যানার্জি এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একসময়ের রোমান্টিক জুটি। যাদের পর্দার রোমান্স একসময় বাংলার দর্শক মাতিয়ে তুলেছিল। রচনা এবং প্রসেনজিৎ একসঙ্গে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টি ছবিতে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুনঃ পাঠানের ব্যাপক শাফল্যের পরেই কিং খানের মুখে বিরতির কথা! অভিনয় ছাড়ছেন শাহরুখ?

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই সময়ে অনেক নায়িকার প্রেমঘটিত জল্পনা ঘটলেও রচনার সঙ্গে কোনদিন সেরকম কোনো সম্পর্কের কথা শোনা যায়নি। সেটা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দিক থেকে না থাকলেও সেই আক্ষেপের কথা এক রিয়্যালিটি শো-এ এসে অকপটে স্বীকার করলেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। রচনা ঐ শো তে সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে জানান তাঁর আক্ষেপের কথা।
তিনি বলেন, “একসঙ্গে ৩৫-৪০টি ছবিতে আমার নায়ক তিনি। কখনও কি মনে হয়নি রচনার সঙ্গে প্রেম করা যায়? ওর হাতটা ধরা যায়? দুটো ভাল কথা বলা যায়?” সাংসারিক জীবন সুখের হয়নি রচনার। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ না হলেও তাঁরা আলাদা থাকেন। ছেলে যদিও থাকে মায়ের সঙ্গেই। বাবাকে হারিয়েছেন বেশ কিছু সময় অতিক্রান্ত।
আপাতত ছেলেকে ঘিরেই তাঁর সংসার। তাঁর আক্ষেপের সাথে সাথে বুম্বা দা কে তিনি ইন্ডাস্ট্রির ‘শিয়াল পন্ডিত’ বলে মনে করেন। কেন? সেই কারনও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ভীষণ বুদ্ধিমান, ভীষণ চালাক ইন্ডাস্ট্রি তথা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ঠিক যেন ‘শিয়াল পন্ডিত’।
প্রসেনজিতের উপর বুকভরা অভিমান রচনার! সব উগড়ে দিলেন কার কাছে?
এখানেই থামেন তিনি শুধু শিয়াল নন, রচনার মতে প্রসেনজিৎ হলেন শিয়াল পন্ডিত। সব মিলিয়ে শো তে এসে অনেক দিনের জমানো অভিমান যেন উগড়ে দিলেন তিনি। এমটাই মনে করছেন নেটিজেনরা।