নজরবন্দি ব্যুরোঃ ‘আমি ইন্ডাস্ট্রি’ এই সংলাপের পর থেকেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে সকলে এই নামেই ডেকে থাকেন। তিনি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে যেভাবে পাল্টে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছেন, তা এক কথায় প্রতিটা ক্ষেত্রেই প্রশংসিত। কেরিয়ারের শুরুতে বেশ কয়েকটি হিন্দি ছবিতে কাজ করলেও আরব সাগর পারে লম্বা সময় ধরে কাজ করতে আগ্রহ দেখাননি বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় পুত্র।
আরও পড়ুনঃ জিম খুলে মোটা টাকা আদায় করে ‘গায়েব’ শ্রাবন্তী, আইনি জটিলতায় অভিনেত্রী
তবে এই স্টার কেন বলিউডের পর্দায় সেভাবে জায়গা করতে পারলেন না? না, জায়গা করতে পারলেন না বলা ভুল। তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন ‘ম্যাঁনে পেয়ার কিয়া’ ছবির জন্য ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তবে সেই ছবি কেনও করেননি তা নিয়ে খুব একটা মুখ খুলতে চাননি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তবে ফের ৬১-তে নতুন শুরু। সদ্যই প্রাইম ভিডিয়োয় মুক্তি পেয়েছে ‘জুবিলি’।

এই সিরিজের সঙ্গেই ওটিটি ডেবিউ সেরেছেন বুম্বাদা। জুবিলি-র প্রচারে গিয়ে মুম্বাই ও নিজের হিন্দি ছবির ক্যারিয়ার নিয়ে অকপট বাংলার সুপারস্টার। কেন বলিউডে কেরিয়ার তৈরি হল না প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের? প্রশ্নের উত্তরে বুম্বার সাফ জবাব, ‘আমার মনে হয় আঞ্চলিক ভাষার অভিনেতারা মুম্বইয়ে বেশি কাজ পায় না। আমি শেষ সাংঘাইতে কা করেছি, সেটা দীর্ঘদিন আগে।
এখনে অনেক ট্যালেন্ট রয়েছে, অনেক দরজাও খোলা রয়েছে। নতুন নতুন প্ল্যাটফর্ম আসছে, সবার জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে। ভাষা আর কোনও সমস্যা নয়, এখন নতুনদের জন্য অনেক সুযোগ। এই শো-এর সঙ্গে আমরা নতুন কিছু চেষ্টা করেছি। সময় বদলেছে, অবশ্যই। বাঙালি অভিনেতারা অনেক কিছু করেছেন, করে চলেছেন’।
গত এক দশক ধরে কমার্শিয়াল ছবিতে দেখা মেলে না প্রসেনজিতের। জুবিলি-র শ্রীকান্ত রায়ের চরিত্র তাঁকে এতটাই টেনেছিল যে বিক্রমাদিত্য মোটওয়ানিকে না বলতে পারেননি। পঞ্চাশের দশকের হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রেক্ষাপটে সাজানো এই গল্প। পর্দাতেও সুপারস্টারের চরিত্রেই রয়েছেন প্রসেনজিৎ। তবে সেই জমানার সঙ্গে আজকের অনেক ফারাক।
কেন বলিউডে সফল নায়ক হতে পারেননি বাংলার সুপারস্টার? অকপট প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
তাঁর কথায়, ‘সেই সময় স্টুডিও আর থিয়েটার স্টার তৈরি করত, এখন পরিচালক আর প্রযোজকদের জুহুরির চোখই স্টার খুঁজে নেয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, আমার কেরিয়ারের সাফল্যের পিছনে সেই সকল টেকনিশিয়ানদের হাত রয়েছে যাঁদের সঙ্গে আমি কাজ করেছি’।