নজরবন্দি ব্যুরো: ক্রমশ ঘনাচ্ছে কসবায় ছাত্রমৃত্যুর রহস্য! সোমবারই কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর মামলায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন মৃতছাত্রের পরিবার। “পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। আর এবার সেই মামলায় কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে পড়ুয়া মৃত্যুর তদন্তের নজরদারি করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। জানা গিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ অক্টোবর।
আরও পড়ুন: Actor Daughter’s Death: জনপ্রিয় অভিনেতার মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, মেলেনি সুইসাইড নোট
সোমবার মামলাকারীরা আদালতে অভিযোগ করে জানান যে, পুলিশ ৪ সেপ্টেম্বরের ঘটনার সময়ের স্কুলের সঠিক সিসিটিভি ফুটেজ পরিবারকে দিচ্ছে না। তাই দ্বিতীয় ময়না তদন্ত ও নতুন করে ইনকোয়েস্ট করার আবেদন জানিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আর মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে পড়ুয়া মৃত্যুর তদন্তের নজরদারি করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিচারপতি আরও জানান, প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে পেশ করতে হবে। এছাড়াও সিসিটিভি ও হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করতে হবে। একই সঙ্গে ময়নাতদন্তের কপি এখনই পরিবারকে দিতে হবে। আগামী শুনানিতে কেস ডাইরি আদালতে জমা দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার কসবা রথতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি স্কুল স্কুল চলাকালীন স্কুলের ৫ তলা থেকে পড়ে যায় দশম শ্রেণির এক ছাত্র। এরপরেই তড়িঘড়ি করে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু কিভাবে ওই ছাত্র পড়ে গেল? কিভাবে মৃত্যু হল ওই ছাত্রের? একাধিক প্রশ্ন উঠছে! রীতিমত ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য!
যদিওবা এই ঘটনায় ছাত্রের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলের উপর প্রথম থেকেই একাধিক কারণে ক্ষোভ ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের। একটি প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল ওই ছাত্রের। দিতে পারেনি বলে ওকে খুব বকাবকি করা হয়েছিল। কান ধরে দাঁড় করিয়েও রাখা হয়েছিল সবার সামনে। আর এতেই খুব অপমানিত বোধ করেছিল। শিক্ষক ওর উপর মানসিক চাপ দিতেন মৃত ছাত্রের বাবার দাবি, আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।
এদিকে, ওই মৃত ছাত্রের এক সহপাঠী জানায়, “সোমবার দুপুরে প্রজেক্ট নিয়ে সমস্যা হওয়ার কারণে ম্যাম ওকে ডেকে নিয়ে যান। তবে বেশ অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পরেও ও ক্লাসরুমে ফেরেনি। এর পরেই হঠাৎ জোরে আওয়াজ শুনতে পাই। পরে এক দাদা আমাদের এসে বলে যে, ও ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে। তারপরেই একজন ম্যাম তখনই আমাদের ক্লাসরুমে এসে সকলকে শান্ত হয়ে থাকতে বলেন। ম্যাম বলেছিলেন, “পড়লে আবার কী হবে, হাত-পা ভাঙবে!” পাশাপাশি আমরা যাতে কিছু না বলি, সেটাও বলা হয়েছিল আমাদের।”
কসবাকাণ্ডে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ, কমিশনারকে নজরদারির নির্দেশ হাইকোর্টের