নজরবন্দি ব্যুরোঃ গতকাল নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দেখা যায় কলকা ও হাওড়া জেলায়। পুলিশ ও বিজেপির কর্মীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধে আহত হয়েছেন দুই পক্ষের একাধিক জন ব্যক্তি। সেই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের সভা থেকে আবারও আক্রমণ শানালেন বিজেপির বিরুদ্ধে।পুলিশ চাইলেই গুলি চালাতে পারত, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ মাথায় চোট পেয়েছেন মীনাদেবী পুরোহিত, হাসপাতালে দেখতে গেলেন সুকান্ত-ফিরহাদ
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এমনিতেই দুই বছর ধরে কোভিডে সব নষ্ট হয়ে গেছে। পুজোর সময় লোকে একটা ব্যবসা করে একটু বেশী করে ব্যবসা পাবে বলে। সমস্ত কিছু নষ্ট করেছে। সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করা হয়েছে চুড়ান্ত। পুলিশ চাইলে গুলি চালাতে পারত। পুলিশ গুলি চালাবে। এটাও কাম্য নয়। পুলিশ শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে চেষ্টা করেছে শান্তিপূর্ণভাবে ম্যানেজ করার। কিন্তু এটা কখনও হতে পারে না যে ট্রেন ভাড়া করে, এমনকি বাইরের বর্ডারে অন্যান্য রাজ্যের লোকেদের নিয়ে এসে, রেল স্টেশনে ঢুকে পড়ছে। ওখান থেকে বোমা মারছে গণ্ডগোল করছে। অনেক পুলিশ আহত হয়েছে। আর এটা করার জন্যই গুণ্ডামি করার জন্য লোক নিয়ে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সকলের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। এখানে কোনও দ্বিমত নেই। আন্দোলনের নাম করে আমি ব্যাগে করে বোম নিয়ে আসব! বন্দুক নিয়ে আসব? মাথা ফাটিয়ে দেবো? এটা তো ঠিক নয়। যারা যারা আহত হয়েছে সকলের আরোগ্য কামনা করছি। যারা বোমাবাজি করেছে, আগুন ধরিয়েছে তাঁর সমাজবিরোধী কাজ করেছে। যা রাজনীতির সঙ্গে খাপ খায় না। সেখানে পুলিশ পুলিশের মতো কাজ করবে।
একইসঙ্গে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে সরব হয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, একজন এসিপি এবং ওসিকে আহত করা হয়েছে। অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও একজন ওসি গুরুতর জখম হন। তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ চাইলেই গুলি চালাতে পারত, বিজেপির মিছিলও নিয়ে মন্তব্য মমতার
উল্লেখ্য, পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে চলে খণ্ডযুদ্ধ। এখনও অবধি ১৩৯ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারের খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন ৫৬ জন পুলিশ কর্মী ও ৩৬৩ জন বিজেপি কর্মী। মোট ৬ টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে মারধরের অভিযোগে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করল পুলিশ। এমনকি আলাদা করে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।