নজরবন্দি ব্যুরোঃ ফের উগ্রপন্থীদের নিশানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তাঁর উপর হামলার ছক কষেছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া৷ উগ্রপন্থী সংগঠনের এক সদস্যকে জেরা করে এমনই বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছে এনআইএ এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ তারা জানিয়েছে, শুধু মোদির উপরই নয়, উগ্রপন্থী এই সংগঠনটি ভারতের নানা প্রান্তে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷
আরও পড়ুনঃ ব্যাক আপ ছাড়া কথা বলি না, ২১ জন বিধায়ক যোগে এখনও অনড় মহাগুরু
যে কারণে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক মজুত করার কাজে নেমেছিল তারা৷ ইডি জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে পিএফআই ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে৷ সেই অর্থকে কাজে লাগিয়ে দেশের একাধিক প্রান্তে দাঙ্গা বাধিয়েছে পিএফআই৷ জঙ্গি হামলার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে সেই অর্থ৷ এছাড়া আরও জানা গিয়েছে, ইসলামিক সংগঠনটি নাকি চলতি বছর ১২ জুলাই বিহারে মোদির জনসভায় হামলার ছক কষছিল।
বৃহস্পতিবার কর্ণাটক-সহ দেশের অন্তত ১০টি রাজ্যে অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনএআইএ ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জঙ্গিদের অর্থ জোগানো-সহ একাধিক অভিযোগে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র (পিএফএআই) ১০০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। এই অভিযানের নামে দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন অক্টোপাস’।
অপারেশন অক্টোপাস চলাকালীনই কেরল থেকে গ্রেপ্তার হয় PFI কর্মী শফিক পায়েত। সেই ইডিকে জানিয়েছে, চলতি বছর ১২ জুলাই মোদির পাটনার সভায় তাঁর উপর হামলার ছক ছিল মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনটির। প্রধানমন্ত্রী উপর হামলার পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসতেই এই মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছে বিজেপি। এই বিষয়ে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেন,
১২ জুলাই বিহারে মোদিকে মারার ছক ছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, বিস্ফোরক তথ্য এনআইএ এর হাতে
‘গোটা দেশে পিএফআই ও এসডিপিআই-কে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কর্ণাটক ছাড়াও দেশের অন্যান্য জায়গায় একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সংগঠনটির। এদের কুকীর্তির কথা প্রত্যেকেই জানে। কোন জায়গা থেকে তাদের কাছে এতো টাকা আসছে। কারা রয়েছে এই সংগঠনের নেপথ্যে। সেসব জানতেই এই অভিযান চালানো হয়।’