নজরবন্দি ব্যুরোঃ সব আদিবাসী পুরোহিতকে ভাতা, দ্বিতীয় দফায় পুরোহিতদের নির্ভুল তালিকা চাইল নবান্ন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অক্টোবর মাসের শেষে পুজো শুরু হওয়ার আগেই পুরোহিতদের মাসিক এক হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। রাজ্যের পুরোহিতের ভাতা দেওয়ার কথা শোনার পর বিভিন্ন পুরোহিত মহল সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ধন্যবাদ মিছিলের আয়োজন করেছিল। আর এবার রাজ্য সরকার নতুন একটি সিদ্ধান্ত নিল। এবার জানানো হল সব আদিবাসী পুরোহিতদের ভাতা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ সরকারি টাকা বিনোদনের জন্যে নয়, রাজ্য সরকার কে নজিরবিহীন নির্দেশ হাইকোর্টের।
আদিবাসী পুরোহিতদের ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত মন্দিরের পুরোহিতদের নামের তালিকাও প্রস্তুত করছে প্রশাসন। নবান্নের তরফে সেই তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে জেলা শাসকদের কাছে। সবাইকে মাসে হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। নবান্নের তরফে বিভিন্ন জেলার জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুততার সাথে নির্ভুল তালিকা প্রস্তুত করে নবান্নে পাঠাতে।
সব আদিবাসী পুরোহিতকে ভাতা, দ্বিতীয় দফায় পুরোহিতদের নির্ভুল তালিকা চাইল নবান্ন। নবান্নের তরফে জেলা শাসকদের মাথায় রাখতে বলা হয়েছে যেন রাজ্যের সব গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরের পুরোহিতরা যেন ভাতা পান। পাশাপাশি রাজ্য জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রথম তালিকা চলে এসেছে। এখন অপেক্ষা দ্বিতীয় তালিকার। নবান্ন থেকে জেলাশাসকদের কাছে রাজ্যে অবস্থিত মন্দিরগুলির একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে সেইসব মন্দিরে পুজোর দায়িত্বে থাকা পুরোহিতের নামের তালিকা তৈরি করে পাঠাতে হবে। জেলাশাসকদের নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, কারও নাম প্রথম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকলে তা জানাতে পাশাপাশি কারও নাম বাদ পড়লে তা সংযুক্ত করতে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুজোর আগে পুরোহিত ভাতা তো বটেই, সব ধরনের সামাজিক পেনশন, ভাতা, স্কলারশিপ, কন্যাশ্রীর টাকাও প্রাপকদের হাতে পৌঁছে দিতে চায়। জেলা প্রশাসনগুলিকে সেই ভাবে প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার সব দফতর, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে করোনা-আবহে উৎসবের প্রস্তুতিতে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, সরকারি ছুটি বা উৎসবের জন্য মিড-ডে মিল, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মসূচিও যাতে বাধা না-পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। দ্রুত চালু করতে হবে সহায়তা কেন্দ্র। পুজোয় সরকারি অফিস বন্ধ হবে আগামী শুক্রবারের পরে। অফিস খোলা থাকতেই টাকা ছাড়তে চায় তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর। পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় উপভোক্তার তালিকা দ্রুত পাঠাতে বলা হয়েছে।