নজরবন্দি ব্যুরোঃ স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে পেশ করা হল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়কে। তবে এই প্রথমবার জামিনের আর্জি জানালেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জামিন জানালেন না অর্পিতাও। কিন্তু তদন্তে অগ্রগতিতে কেন সময় লাগছে? সেই প্রশ্ন তুলেছেন উভয় পক্ষের আইনজীবী।
আরও পড়ুনঃDigital Rupee: ১লা ডিসেম্বর থেকে চালু হবে ডিজিটাল মুদ্রা, কোন কোন ব্যাঙ্ককে মিলবে সুবিধা?
গত জুলাই মাস থেকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে তৎপর হয়েছিল ইডি। রাজ্যজুড়ে ইডির বিরাট অভিযানের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকার অধিক নগদ টাকা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় সোনার গয়না, একাধিক জমির দলির এবং বিদেশী মুদ্রাও। শুধুমাত্র দেশে নয়, অপার সম্পত্তির বিস্তার হয়েছে বিদেশেও। এমনটাও হদিশ পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
এদিন পার্থ ও অর্পিতার আইনজীবী বলেন, এটা একটা শিডিউল অফেন্স। কিন্তু ডাকাতি করে কেউ যদি এদিক ওদিক চলে যান, তাহলে ২৪ ঘন্টায় তদন্ত সম্ভব! ইডি অভিযোগ, বেসরকারি কলেজগুলিকে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য টাকা নিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনকি, মনকি প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও পার্থর যোগ পেয়েছে ইডি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কার্যকলাপ সম্পর্কে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবগত থাকলেও কেন কোনও পদক্ষেপ নেননি? তবে কী টাকার ভাগ পার্থ চট্টোপাধ্যায় পেতেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
তদন্তে অগ্রগতিতে কেন সময় লাগছে? প্রশ্ন পার্থ-অর্পিতার
দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে এদিন ১৪ ডিসেম্বর অবধি পার্থ ও অর্পিতাকে ১৪ ডিসেম্বর অবধি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। কিন্তু ইডির মামলায় কেন জামিনের বিরোধিতা করলেন না পার্থ? প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।