নজরবন্দি ব্যুরো: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিনেও অশান্তি ছড়াল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে৷ মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গেলে বিরোধীদের ওপরে হামলার অভিযোগ উঠল৷ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মুর্শিদাবাদের ডোমকল৷
আরও পড়ুন:Panchayet Election: বিরোধীদের চাপে পরে ১৩ জুন সর্বদল বৈঠক
ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। জানা গিয়েছে, কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা৷ মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তার জন্য পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে।
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যেও অশান্তিতে না জড়ানোর বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নদিয়ার কল্যাণীতে নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচির ফাঁকে গোটা রাজ্যের তৃণমূলকর্মীদের বার্তা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দলের তরফ থেকে কড়া নির্দেশ, কেউ এই ধরনের ঝামেলায় জড়াবেন না৷ মনোনয়ন ঘিরে অশান্তিতে জড়াবেন না।‘
অভিষেকের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘প্রশাসনকেও বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। কেউ মনোনয়ন জমা না দিতে পারলে দলকে জানান৷ তৃণমূল কংগ্রেস মনোনয়নের ব্যবস্থা করবে।‘ গত শুক্রবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে এক কংগ্রেস কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে৷ এদিন সকালে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ডোমকল৷
মনোনয়ন ঘিরে অশান্তিতে জড়াবেন না, কড়া বার্তা অভিষেকের

অভিযোগ উঠছে, এ দিন সকাল থেকেই ডোমকলের বিডিও অফিসের গেট ঘেরাও করে রেখেছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। বাম-কংগ্রেস প্রার্থী ও সমর্থকরা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁদের মারধর করে মনোনয়নে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ এই কারণে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়৷ বিরোধী দলের প্রার্থীদের ঘিরে ধরে বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী৷ এমনকি, লাঠি হাতে রাস্তায় নামানো হয় সিভিক পুলিশ ভলান্টিয়ারদেরও৷ সবমিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা৷