নজরবন্দি, জলপাইগুড়ি: একটানা বৃষ্টিতে নাজেহাল জলপাইগুড়ি শহরবাসী। আগামি কয়েক ঘন্টায় উত্তরবঙ্গে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানালেন জলপাইগুড়ির আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তর।এদিকে পাহাড়ে বৃষ্টির ফলে তস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: ফের ঘূর্ণাবর্তের ভ্রুকুটি, পুজোর মাসে কি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে নিম্নচাপ? জারি সতর্কতা
গত কয়েকদিন থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ির জনজীবন স্তব্ধ হয়ে আছে। গতকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি শহরে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১১২.৫ মিলিমিটার। জেলায় সর্বাধিক মাথাভাঙাতে বৃষ্টি হয়েছে ১২৪.৪ মিলিমিটার। জলপাইগুড়ি সেচ দপ্তর সুত্রে খবর আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি হয়েছে ৭৪.৪ মিলিমিটার, কোচবিহারে ৯৬.২ মিলিমিটার, শিলিগুড়িতে ৯৪.৮ মিলিমিটার, বাগরাকোটে ১১৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টিতে নিচু এলাকায় জল জমেছে। দার্জিলিং NH 10 অবরুদ্ধ, সিকিম এবং কালিম্পং থেকে যানবাহন স্থগিত। শেঠি ঝোড়ায় NH10-এ ভূমিধসের কারণে রাস্তার একটি অংশ তলিয়ে গেছে। জরুরী সংস্কারের জন্য রাস্তার অংশটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
একটানা বৃষ্টিতে নাজেহাল উত্তরবঙ্গ, ভূমিধসে অবরুদ্ধ দার্জিলিং NH 10
ততক্ষণ পর্যন্ত সিকিম দিক থেকে শিলিগুড়ি/ডুয়ার্স পাশ থেকে ছোট যানবাহনগুলি যেকোনও রুটে সুবিধা অনুযায়ী যেতে পারে। তিস্তা থেকে কার্সিয়ং হয়ে শিলিগুড়িতে ডাইভারশন। সাংসে থেকে লাভা-গোরুবাথান হয়ে ডাইভারশন – রাজ্যাভিষেক সেতু। এবং বিপরীতভাবে সিকিম থেকে শিলিগুড়ির দিকে ভারী যানবাহনের জন্য। চিত্রে ফাটাক- কালিম্পং শহর- লাভা গোরুবাথান রোড- করোনেশন ব্রিজ- শিলিগুড়ির দিকে