নজরবন্দি ব্যুরোঃ সাগরদিঘির নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু ভোটে ভাটা পড়েছে তৃণমূলের। এরই মধ্যে সংখ্যালঘু ভোটের কথা মাথায় রেখে বিরাট সিদ্ধান্ত নিল ঘাসফুল শিবির। ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে বদলের পাশাপাশি ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে বেড়েছে শাসক দলের নেতাদের ভিড়, এবার তা নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর বক্তব্য, ফুরফুরা শরিফে নেতাদের পাঠিয়েও কোনও লাভ হবে না। যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ Bonny Sengupta: বনিকে দামী গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন কুন্তল, সেই বিষয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি
বুহদবার ফুরফুরা শরিফে উপস্থিত হন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত হন ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের নয়া চেয়ারম্যান তথা আদি সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। তাঁরা দেখা করেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে। সেখানে গিয়ে নওশাদকে ভাই বলে অভিহিত করেন ফিরহাদ। এমনকি গোটা ঘটনার দায় পুলিশের দিকে ঠেলে দেন তিনি।
এবিষয়ে নওশাদ অবশ্য জানিয়েছেন, যে কেউ ফুরফুরা শরিফে আসতে পারেন। কিন্তু কেউ যদি রাজনৈতিক জমি ফেরাতে আসতে চান, তা হলে আমি বলব, এখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আর পরিস্থিতি আগের মতো নেই। শাসকদলের প্রকৃত চেহারা মানুষের কাছে ধরা পড়ে গেছে। তাঁর কথায়, ভোট হলে মানুষ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে বার বার সাগরদিঘির মতো ঘটনা ঘটাবেন।
ফুরফুরা শরিফে নেতাদের পাঠিয়েও কোনও লাভ হবে না, জানালেন নওশাদ
প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি আইএসএফের জন্মদিবস উপলক্ষে কলকাতায় মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল আইএসএফের তরফে। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আইএসএফ কর্মীরা। ঘটনায় গ্রেফতার হন বিধায়ক নওশাদ সহ একাধিক আইএসএফ কর্মীরা। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। প্রায় ৪২ দিন জেলে থাকার পর নওশাদকে জামিনে মুক্তি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরেই ফুরফুরা শরিফ যেতে দেখা গেছে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে। সেখান থেকেই একাধিক জল্পনা শুরু হয়েছিল। এখন সে সম্পর্কে নিজেই মুখ খুললেন নওশাদ।