নজরবন্দি ব্যুরোঃ শারদীয়া দুর্গোৎসব মানেই নতুন বস্ত্র, নতুন উপহার। আর এই খুশির আবহ সমাজের সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই আজ নসরৎপুর টিচার্স রিলিফ ফাণ্ডের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ভালোবেসে নববেশে ও খুশির মেলা নামে দুটি কার্যক্রম। লকডাউন পর্বে নানাভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি আজ পূর্বস্থলী ১ নং ব্লকের নসরৎপুর অঞ্চলের পথের সাথীতে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভালোবেসে নববেশে নামে নতুন বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঐ এলাকার শিক্ষক শিক্ষিকারা।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার পুজো উদ্বোধনে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রায় ৮0 জন দুঃস্থ অসহায় পরিবারের ছেলে মেয়ে ও ৪0 জন নিঃসঙ্গ অসহায় প্রবীণ নাগরিকের হাতে নতুন বস্ত্র উপহার হিসাবে তুলে দেয় তারা। এছাড়া এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের কাছে এক বাড়তি মাত্রা যোগ হয় খুশির মেলার আনন্দ। নতুন বস্ত্র পাওয়া ছাড়াও খুশির মেলাতে স্মাইলি বল, বিভিন্ন রকমের চকোলেট, স্ন্যাকস, কেক, বেলুন ইত্যাদি নানা উপহারের স্টল ছিল। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন উপহার প্রাপক জানান ” করোনার কারণে এ বছরে নতুন কিছু গায়ে উঠবে ভাবতেই পারিনি, মাস্টারমশাইরা দিল তাই খুব আনন্দ হচ্ছে।”
এই আনন্দের রেশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছোট থেকে বড় সকলের চোখেমুখে স্পষ্ট ধরা পড়ছিল। আজকের এই কার্যক্রম বিষয়ে নসরৎপুর টিচার্স রিলিফ ফাণ্ডের এক শিক্ষক প্রতিনিধি জানান, ” আমরা চেয়েছিলাম আমাদের সাধ্যমত এই অতিমারী পরিস্থিতিতেও কিছু দুঃস্থ অসহায় শিশু, অসহায় নিঃসঙ্গ প্রবীণ নাগরিক, স্টেশনে থাকা ভবঘুরে, ভিখারি ও যাযাবর মানুষজনের মুখে হাসি ফোটাতে কারন পুজো উপলক্ষ্যে যে যৎসামন্য আনন্দ আমরা সকলেই করবো তার থেকে সাধ্যের অভাবে তারা যেন বঞ্চিত না হয়।
তাই সকলের ভালোবাসা নিয়ে ওরা নববেশে সেজে উঠুক, আনন্দ করুক এটাই আমাদের চাওয়া। এর বাইরেও আজ আমরা একটা মেলার আয়োজন করেছিলাম যেখানে শিশুদের জন্য বিভিন্ন উপহার স্টলে স্টলে সাজানো ছিল যা ছোট শিশুরা পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছে। পাশাপাশি পুজো শুরু হওয়ার আগে, আমরা একটা সমাজিক বার্তা এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বার বার করে ছড়িয়ে দিয়েছি যে পুজোর দিনগুলো যেন সকলেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দ উপভোগ করি। শেষে একটাই কথা বলবো নসরৎপুরের সব শিক্ষক শিক্ষিকা সহ দূর দূরান্তের অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা ও শুভাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তিবর্গের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”