নজরবন্দি ব্যুরো: প্রেমের বিয়েতেই বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা বেশি! এক মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় শুনানিতে কড়া প্রতিক্রিয়া বিচারপতির বেঞ্চের। যুগলকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেও স্বামী বিরোধিতা করে। এরপরই এমন চাঞ্চল্যকর পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। কি জানাল শীর্ষ আদালত?
আরও পড়ুন: ছয় মাস অপেক্ষা না করেই নেওয়া যাবে ডিভোর্স, যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের
বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে চলে। আদালতে জানানো হয়, প্রেমের সম্পর্ক কাটিয়ে বিয়ে করেছিলেন যুগল। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা বিবাহবিচ্ছেদ চাইছেন। সুপ্রিম কোর্ট যুগলকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেও স্বামী এই প্রস্তাব মানতে নারাজ। এরপরই বিচারপতি বিআর গাভাই এবং সঞ্জয় করোলের বেঞ্চ থেকে মন্তব্য করা হয়, অধিকাংশ বিবাহ বিচ্ছেদের সূত্রপাত প্রেমের বিবাহ থেকে। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে সাম্প্রতিক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করা যাবে।

বিবাহ বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ছয় মাসের অপেক্ষা বাধ্যতামূলক। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, ক্ষেত্রবিশেষে ১৪২ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা যেতে পারে। স্বামী-স্ত্রী দু পক্ষের সম্মতি থাকলে ছয় মাসের অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, “যেখানে বিবাহবিচ্ছেদ রোখার নয় সেখানে ছয় মাস অপেক্ষা করা অর্থহীন।”
উল্লেখ্য, হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩ বি ধারা অনুসারে দুপক্ষের সম্মতিতে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য বাধ্যতামূলক সময়সীমা মকুব করার আবেদন নিয়ে একটি মামলা প্রায় সাত বছর আগে শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হয়। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘যে ক্ষেত্রে বিচ্ছেদ কোনওভাবেই আটকানো যাবে না, সেখানে ছয় মাস বাধ্যতামূলকভাবে অপেক্ষা অর্থহীন। তাই সম্পর্কের অবস্থা বিচার করে দু পক্ষের সম্মতিতে ছয় মাস অপেক্ষা না করেই সম্পর্ক ভেঙে দেওয়া যেতে পারে।”
অধিকাংশ ডিভোর্সের সূত্রপাত প্রেমের বিয়ে থেকেই, কি পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের
