নজরবন্দি ব্যুরোঃ ছন্নছাড়া বিজেপি, দলীয় বৈঠকে দেখা মিলছে না সিংহভাগ পরাজিত প্রার্থীর। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে অমিত শাহ থেকে নরেন্দ্র মোদী সদর্পে ঘোষণা করেছিলেন ২০০ র বেশী আসন পেয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। বাস্তবে ক্ষমতা দখল দূরে থাক প্রশান্ত কিশোরের কথামত ১০০ আসনের অনেক আগে ৭৭ আসনে থেমে যায় বিজেপির রথ। দুই সাংসদ নিশীথ প্রামানিক ও জগন্নাথ সরকার নিজেদের বিধায়ক আসন ছাড়ার পর তা দাঁড়িয়েছে ৭৫ এ।
আরও পড়ুনঃ স্পুটনিকের পর ফাইজার, আরও এক ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়ার পথে কেন্দ্র।
এদিকে রাজ্য জুড়ে দলীয় কর্মীদের উপর আক্রমনের অভিযোগে সরব বিজেপি। তবে দলের অন্দরে কান পাতলে অন্য খবর শোনা যাচ্ছে। দলের বৈঠকে দেখা মিলছে না পরাজিত প্রার্থীদের সিংহভাগদের। গতকালের দলীয় বৈঠকে সেই ছবি আরও প্রকট হয়ে দেখা দিল। বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য হেস্টিংসে দলের দফতরে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল সব পদাধিকারী ও প্রধান নেতাদের। বর্তমানে রাজ্যের দায়িত্বে থাকা বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ ছাড়াও শুক্রবারের বৈঠকে ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী।
ছিলেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে বিজেপির অতি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ সম্পাদকের পাঁচ জনের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সঞ্জয় সিংহ এবং সায়ন্তন বসু। আসেননি জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রথীন বসু। রাজ্য বিজেপি-তে সহ সভাপতি রয়েছেন ১২ জন। তাঁদের মধ্যে জনা চারেক হাজির ছিলেন শুক্রবারের বৈঠকে। ১০ জন রাজ্য সম্পাদকের অনেকে আসেননি। এ ছাড়াও রাজ্য কমিটির বাছাই কয়েকজন সদস্যকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিধাননগরে পরাজিত প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত।
তিনি আসেননি। ডাক পেয়েও গরহাজির ছিলেন ডোমজুড়ে পরাজিত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বিজেপি-র এক নেতার দাবি, ভোট পরবর্তী সময়ে এঁদের অনেকেই কোনও বৈঠকে আসছেন না। দলের বৈঠকে খুবই অনিয়মিত সহ-সভাপতিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুখ ভারতী ঘোষ। এই অনুপস্থিতির কথা কার্যত মেনে নিয়ে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান “করোনা পরিস্থিতির জন্য যাঁরা দূরে থাকেন, তাঁদের অনেকে আসতে পারেননি। আবার অনেক অসুস্থ। এ ছাড়াও কারও কারও এলাকায় এত বেশি সন্ত্রাস হচ্ছে, যে তাঁরা এলাকা ছেড়ে কলকাতায় আসতে পারছেন না। কেউ কর্মীদের সামলাচ্ছেন। কেউ নিজের উপর হামলার ভয় পাচ্ছেন। তবে সকলেই দলের যোগাযোগের মধ্যে রয়েছেন।”
ছন্নছাড়া বিজেপি, দলীয় বৈঠকে দেখা মিলছে না সিংহভাগ পরাজিত প্রার্থীর। তবে দলের অন্দরমহল বলছে শুধুমাত্র বিধায়ক হতে আসা প্রার্থীরা শোচনীয় হারের পর থেকেই দলের সঙ্গে একপ্রকার সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।