নজরবন্দি ব্যুরোঃ গতকালই কলকাতার রাজপথে বিরাট মিছিল করেছে বিজেপি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রীপদ থেকে সরানো সহ একাধিক দাবি ছিল সেই মিছিলের। সামনের সারিতে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাহুল সিনহা, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকে। কিন্তু দেখা যায়নি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরকে। খোঁজ খোঁজ রব পড়ে মিডিয়ার মধ্যে। এতবড় মিছিলে শুভেন্দু নেই কেন?
আরও পড়ুনঃ কথা শুনছিলেন না, ইডির ডাকে অর্পিতা এসে বকা দিলেন পার্থকে, এক ধমকেই কাজ!
তাহলে শুভেন্দু কোথায়? বিজেপি সূত্রে খবর শুভেন্দু অধিকারী গতকাল কলকাতাতেই ছিলেন না। পার্থ কাণ্ডে বাংলা যখন উত্তাল, ঠিক সে সময় শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছিলেন নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকের প্রধান কার্যালয়ে। সূত্রের দাবি, সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভগবতের সঙ্গেও সাক্ষাত করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভগবৎ-শুভেন্দুর সাক্ষাৎ খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা।
সূত্রের খবর, পার্থ কাণ্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধীরে চলো নীতিতে চলার পরামর্শ দিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবৎ। শুভেন্দু কোথায় এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “শুভেন্দু দা বড় অপারেশনে ব্যস্ত আছেন। তার কিছুটা ইঙ্গিত মিঠুন দা দিয়েছেন গতকাল। তাই মিছিলে আসতে পারেননি।” কিন্তু কি এই বড় অপারেশন? কি ইঙ্গিত?
উল্লেখ্য, মিঠুন চক্রবর্তী দুদিন আগে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন বিজেপি কার্যালয়ে। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘বিজেপির সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রেখে চলেছেন তৃণমূলের ৩৮ বিধায়ক। এমনকী ২১ জন বিধায়ক সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।’ মিঠুনের দাবি অনুযায়ী যদি সত্যিই ৩৮ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অবস্থা টলোমলো হতে পারে। হয়তো সেই কারনেই কিছুদিন আগে বিতোধী দলনেতা ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, ২৪ সালে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন একসঙ্গে হবে।
পার্থ কাণ্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধীরে চলো নীতি, বিরোধী দলনেতাকে টিপস দিলেন মোহন ভাগবৎ!

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ল কমিশন একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল দেশে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করার মতো পরিস্থিতি রয়েছে। সেই সময়কার রিপোর্টে জানানো হয়েছিল আর্টিকেল ৮৩, আর্টিকেল ১৭২ ও রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপল অ্যাক্ট ১৯৫১ সংশোধন করলে একই সঙ্গে দুটি নির্বাচন হতে পারে। এর ফলে ধারাবাহিকভাবে বছরভর নির্বাচন হওয়ার সেই প্রবনতা অনেকটা কমবে। সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এগোতে চাইছে বিজেপি?