নজরবন্দি ব্যুরোঃ শহিদ মিনার চত্বরেই প্রায় ৬০ দিন ধরে অবস্থান করছেন সরকারি কর্মচারীরা। সেখানেই আগামিকাল সভা রয়েছে তৃণমূল ছাত্র যুবদের। যেখানে প্রধান বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।শহিদ মিনার চত্বরেই কেন সভা? আগের দিনেই মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার অভিষেকের সভায় শর্তসাপেক্ষ অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুনঃ Weather Update: বিকেল হতেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে, কলকাতাসহ আর কোন জেলায় বৃষ্টি!
আদালতের তরফে এদিন বলা হয়েছে, একাধিক নিয়মাবলী মানতে হবে। সেখানে বলা হয়েছে, সভা এলাকার প্রবেশদ্বার এবং বাহিরদ্বার-সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলতে হবে। সর্বদা চালাতে হবে ভিডিওগ্রাফি। সভায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে। ডিএ আন্দোলনকারীদের অবস্থান, সেই এলাকায় দ্বিস্তরীয় ব্যারিকেড থাকবে। বাঁশের পাশাপাশি টিন দিয়ে ব্যারিকেড করতে হবে। আন্দোলনকারীদের যাতে কেউ বিরক্ত না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

একইসঙ্গে আদালতের তরফে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, অভিষেকের ওই সভা থেকে কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করা যাবে না। এমনকি তৃণমূলের ছাত্র যুবর তরফে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সাফ নির্দেশ আদালতের। শান্তিপূর্ণ ভাবে গোটা কর্মসূচি পালন করতে হবে। সব পক্ষকেই শান্তি বজায় রাখতে হবে। সভা হয়ে গেলে ব্যারিকেড খুলে ফেলতে হবে। সভাস্থল পরিষ্কার করে দিতে হবে।
মামলকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়াল, মহার্ঘ ভাতার দাবি নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ওই সভামঞ্চ থেকে ১২০ মিটার দূরে ধর্না দিচ্ছে। সভা শুরুর আগে আন্দোলনকারীরা বার বার হুমকির মুখে পড়ছেন। আবার কখনও বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও এসেছে। তাঁর কথায়, হতে পারে আন্দোলনকারীদের তুলে দেওয়ার জন্যই ওই জায়গায় সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে মোহনবাগান মাঠে এই সভা করা যেত। তাঁর বক্তব্য, পরিকল্পনামাফিক সভার জন্য ওই স্থান নির্বাচন করা হয়েছে।
কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করা যাবে না, অভিষেকের সভায় একাধিক শর্ত হাইকোর্টের

একইসঙ্গে এদিন কলকাতা পুলিশের উদ্দেশ্যে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার মন্তব্য, ভবিষ্যতে যাতে এই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না হয়, পুলিশ কমিশনারকে সে দিকে নজর রাখতে হবে। একই জায়গায় দু’টি কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যাবে না। শহরে আরও অনেক জায়গা রয়েছে।