নজ্রবন্দি ব্যুরোঃ ইউনেস্কোর তরফে বাংলার পুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। সেকারণে আজ থেকে শহর কলকাতায় শুরু হয়েছে পুজো উদযাপন। দুপুর ২ টো থেকে শহর কলকাতা জুড়ে পুজ কমিটিগুলিকে নিয়ে মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে এদিন শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, মুর্খদের রাজ্য তৈরি করে পার্মানেন্ট রাজত্ব করতে চান মমতা।
আরও পড়ুনঃ LPG Cylinder Price: পুজোর আগেই সুখবর, এক লাফে অনেকটাই কমল গ্যাসের দাম
মেদিনীপুরের সাংসদের কথায়, কাজকর্মের কথা বলবেন না। সরকারি পয়সায় খাওন দাওন ফূর্তি করুন। দুর্গাপুজোর ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আনন্দ ফূর্তি যতদিন ততদিন চলুক ধারদেনা করে। তারপর যা হওয়ার হবে। চাকরিবাকরি ইন্ডাস্ট্রি কলকারখান কিছু নেই। লেখাপড়াও উঠে যাচ্ছে স্কুল কলেজ থেকে।
তিনি আরও বলেন, এরম একটা মূর্খদের রাজ্য তৈরি করে এখানে পার্মানেন্ট উনিই রাজত্ব করবেন। বোম্বাগড়ের রাজার মতো। এটাই ওনার রেসিপি, রাজনীতি। লুঠপাট হচ্ছে, ভাবার দরকার নেই, আমি তো আছি। আসুন না, আনন্দ করুন । এভাবে রাজনীতি চলছে। বাংলাকে শ্মশান করে দিয়ে যাবেন, বন্ধ্যা করে দিয়ে যাবেন। আগামী দিনে আর কিছই থাকবে না।
এদিন দুপুর ২টোয় শুরু হবে মিছিল। যার জেরে বন্ধ রাখা থাকবে রেডরোডের মতো রাস্তা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ বন্ধ থাকবে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। যার জেরে শহরের একাধিক জায়গায় যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। একাধিক স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি স্কুল আংশিক বন্ধ থাকবে।
গতকাল নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কয়লা পাচার, গরুপাচারের সব টাকা নাকি কালীঘাটে যাচ্ছে! কার কাছে যাচ্ছে, মা কালীর কাছে? নামটা বলুন না একটু! কার কাছে যাচ্ছে? কয়লা কার অধীনে? গরু কার অধীনে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। কেন্দ্র সাহায্য চাইলে করতে পারি। এর বাইরে দায়িত্ব নেই আমাদের।
মুর্খদের রাজ্য তৈরি করে পার্মানেন্ট রাজত্ব করতে চান, মমতাকে আক্রমণে দিলীপ
বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি একবার চালিয়ে দেখান না। ওনার ওপর আঙ্গুল উঠছে কেন? আত্মীয় স্বজন বাড়ির লোক কোটি কোটি টাকা নিয়ে বসে আছে। সবাই কামিয়ে নিয়েছে। মানুষ হাহাকার করছে। গ্রামে যারা কাজ দেবে বলে টাকা নিয়েছিল, তাদের ধরে লোক পেটাচ্ছে। এটাই কি আমাদের ভবিষ্যত হওয়ার কথা ছিল? রাজ্যের বাইরে গেলে লোক প্রশ্ন করে। কী উত্তর দেব আমরা…