নজরবন্দি ব্যুরোঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন এখনও বাকি। তারই মধ্যে শাসক বিরোধী তরজা ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরের এক সভা থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, রক্তগঙ্গা বইলে তো বরণডালা দিয়ে পুজো করতে পারি না। অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে সায়নী ঘোষের বার্তা, নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাই এসব কথা বলছেন।
আরও পড়ুনঃ Mamata Banerjee: ভুল হলে সেটা অবশ্যই শুধরে নেওয়া দরকার, কিসের ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
হুগলীর বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, রক্তগঙ্গা বইলে তো আমরা তাদের বরণডালা নিয়ে পুজো করতে পারি না। আমাদেরও তো তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তারক্তি, বোমাবাজি, মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া এসব তো শুরু করেছে। কোনও বিরোধী থাকুক চায় না ওরা। এভাবে তো চলতে পারে না, মানুষের আওয়াজ বিজেপি তো তুলবেই। তাকে মান্যতা দিয়ে ভোট করতে গেলে বিজেপিকে তো রক্তারক্তির বদলে ঘাটতেই হচ্ছে না?

যদিও বিজেপির এই মন্তব্য নতুন কিছু নয়। একই কথা বলেছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। একটি রক্তদান কর্মসূচিতে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি বলেন,পঞ্চায়েত ভোটে যদি একটা বিজেপি কর্মীর গা থেকে যদি রক্ত ঝড়ে, তাহলে তৃণমূলেরও ঝড়বে। আগাম রক্ত সঞ্চয় করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আমাদের কর্মীদের মাথা ফাটলে ওদের মাথা ফাটাবো। দেবদাস মণ্ডলের কথাকে বিজেপি নেত্রী সমর্থন করছেন তা কথাতেই পষ্ট।
তবে এর আগে হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত বিজেপির কার্যসমিতির বৈঠকে এর আগে বাংলার বিজেপির কর্মীদের প্রতি অবিচার নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, এমনকি মন্ত্রী স্মৃতি ইরানীর মুখেও বাংলার প্রসঙ্গ উঠে আসে। কিন্তু পরিস্থিতি বদল করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঝাঁঝ বাড়াতে শুরু করেছে পদ্ম শিবিরের নেতারা।
রক্তগঙ্গা বইলে তো বরণডালা দিয়ে পুজো করতে পারি না, পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের

তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ জানিয়েছেন, বিজেপির কথা এখন আর কেউ শোনে না। ওদের জামানত বিধানসভায় বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। এমনকি পুরভোটেও ওদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কিছু না কিছু বলে খবরে থাকতে হবে তাই মানুষকে উস্কে দিতে চাইছে।