
নজরবন্দি ব্যুরোঃ সুরাপ্রেমীদের জন্য দারুন সুখবর। জেলায়-জেলায় বাড়তে চলেছে মদের দোকানের সংখ্যা। তাও আবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে। হরিণঘাটা মিট শপ বা বাংলার ডেয়ারির পর এবার জেলায় জেলায় মদ বিক্রির ফ্র্যাঞ্চাইজি দেবে রাজ্য সরকার। এইসব মদের দোকানে মিলবে ভারতে তৈরি ফরেন লিকার অর্থাৎ দেশে তৈরি হওয়া বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ ও দেশি মদ।
আরও পড়ুনঃ ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ পর্ষদ, নিয়োগ নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা
রাজ্যের আয় বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই দোকানের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে রাজ্যের আবগারি দপ্তরকে এককালীন কিছু টাকা দিতে হবে, তবে তা সামান্যই। সূত্রের খবর, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে দিতে হবে ১ লক্ষ টাকা, পুরসভা বা নোটিফায়েড এলাকার জন্য দেড় লক্ষ ও পুরনিগমের জন্য ৪ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
এককালীন টাকা ছাড়াও প্রত্যেক বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাবদ পঞ্চায়েত এলাকায় দিতে হবে ১৫ হাজার, পুরসভা এলাকায় ৩০ হাজার ও পুরনিগম এলাকায় দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। লভ্যাংশের কত অংশ কে পাবে তা নির্ধারণের জন্য ই-টেন্ডারের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
সরকারি উদ্যোগে বিপুল পরিমানে মদ দোকান খুলছে রাজ্যে, কর্মসংস্থান ও রাজস্ব বাড়াতে নয়া পন্থা!
সরকারি সূত্রে খবর, এই সব মদের দোকানে সাধারণ মদ দোকানের মতই নামীদামী ব্র্যাণ্ডের যাবতীয় মদ পাওয়া যাবে। আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে উত্তরবঙ্গের তিন জেলা আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও দার্জিলিংয়ে খোলা হবে ‘বেভকো রিটেল শপ’।

কারা পাবেন ফ্র্যাঞ্চাইজি? কোথায় খুলতে পারবেন দোকান? সূত্রের খবর, যাদের ইতিমধ্যেই মদ দোকানের লাইসেন্স রয়েছে তারা ফ্র্যাঞ্চাইজি পাবেন না। ন্যুনতম ১০০ বর্গফুটের দোকান এবং ১০০ বর্গফুটের গুদাম থাকতে হবে। তাছাড়া সরকারের নির্দেশ মত প্রত্যেক দোকানে কর্মী নিয়োগ করতে হবে নিয়ম মেনে। পঞ্চায়েত এলাকায় ৩ কিলোমিটার মধ্যে কোনও মদের দোকান থাকলে মিলবে ফ্র্যাঞ্চাইজি। পুরসভা এলাকায় এই দূরত্ব ২ কিলোমিটার এবং পুরনিগম বা কর্পোরেশন এলাকায় দূরত্ব ধার্য করা হয়েছে ১ কিলোমিটার।