নজরবন্দি ব্যুরো: বীরভূমের বগটুইয়ে গণহত্যার ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকাকালীন মারা যান লালন শেখ। আর সেই রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কতদূর এগোল! অর্থাৎ তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট মুখ বন্ধ খামে আদালতে জমা দিল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিট। রিপোর্ট জমা দেওয়ার পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে আর এক মাস আদালতের কাছে সময় চেয়ে নেয় তাঁরা।
আরও পড়ুন: Weather Update: গণেশ পুজোর দিন আকাশের মুখ ভার, দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলায় দুর্যোগের আশঙ্কা!
প্রসঙ্গত, এর আগে বগটুইয়ে গণহত্যার ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর মামলায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ডিআইজি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই তদন্তে বেশ কিছু ক্রুতি থাকার কারণে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে সিট গঠন করা হয়। একইসঙ্গে আগামী ১ ডিসেম্বর লালন শেখের মৃত্যুর মামলায় তদন্তের অগ্রগতির পরবর্তী রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিটকে।

উল্লেখ্য, বীরভূমের বগটুইয়ে গণহত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। গণহত্যার ঘটনার প্রায় ৯ মাস পর তাকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়। আর সেই গ্রেফতারির ৯ দিনের মাথায় রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয়ে লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
এরপরই লালনের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। লালন শেখকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে লালনের স্ত্রী। এরপরেই আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি। লালনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক ময়না তদন্তের রিপোর্টে তার উল্লেখ করা হয় যে, গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবারের দাবি, লালনের পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। জিভও কাটা ছিল। আর সেই মৃত্যুরহস্যের তদন্ত এখনও চলছে।