নজরবন্দি ব্যুরোঃ পুজোর আগে আতঙ্কের আরেক নাম ডেঙ্গু। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিগত কয়েক দিন ধরেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ তা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আজ কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে রাত পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ISL খেলার পথে মহামেডান? মুখ্যমন্ত্রীর দুবাই সফর থেকে এল সুখবর
ঠিক কী বলা হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তিতে? কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, সপ্তাহে তিন দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খোলা থাকবে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্র। আর সপ্তাহে দু’দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে। সোম, বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত মিলবে পরিষেবা। মঙ্গল এবং শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা থাকবে। আর শনিবার স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা থাকবে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত।

শুক্রবারই মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘‘আমরা যতটা পারছি প্রস্তুতি নিচ্ছি। অন্যান্য শহরের তুলনায় কিন্তু কলকাতায় ডেঙ্গি অনেকটাই কম। সেটা যাতে আগামী দিনেও কমই থাকে, সেই জন্য আমরা চেষ্টা করছি। একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, এখন আর লকডাউন নেই। প্রচুর মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছে। আর মানুষের এই মুভমেন্টের কারণেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে।’’
সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে রাত পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা পুরসভা
সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা আমাদের তরফে প্রচার আরও বাড়াচ্ছি। মানুষ যাতে সচেতন হয়, সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি। এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজও চলছে। টেস্টিং টাইম আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু ধরা পড়লে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্লাড কাউন্ট চেক করার কথা বলা হয়েছে। আমরা আক্রান্তকে সব রকম ভাবে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’’
প্রতি বছর বর্ষাকাল আসলেই কলকাতায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ডেঙ্গু। এদিকে আবার সামনে পুজো। সেই সময় যদি ডেঙ্গু যদি কপালে ভাঁজ ফেলে তাহলে উৎসবের আনন্দই মাটি হয়ে পারে। ফিরহাদ হাকিম কিন্তু এই কারণে বাংলার ভৌগলিক পরিবশের কথাও স্মরণ করিয়েছেন। তাঁর বয়ানে, ‘‘পুজো তো হবেই। কিন্তু একটা কথা আমাদের মাথায় রাখতে হবে, আমরা যেখানে জন্মেছি, সেখান দিয়ে ক্রান্তীয় রেখা গিয়েছে। ফলে এই সময়ইটা প্যাচপেচে আবহাওয়াই থাকে বরাবর। ডেঙ্গু আর আমাশয় হয় এই সময়। আমাদেরকে তার মধ্যেই লড়াই করে যেতে হবে।’’
