নজরবন্দি ব্যুরো: অনেক জল্পনার কল্পনার অবসান। শেষ পর্যন্ত শ্রেয়স আয়ারের বদলি অধিনায়ক হিসাবে নীতীশ রানাকে বেছে নিল নাইটরা। অতীতে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। সেই বিতর্কিত ক্রিকেটারকেই বেছে নিল কেকেআর।
আরও পড়ুনঃ আইপিএল এ গতবারের লাস্ট বয় মুম্বাই, এবার কেমন তৈরি
অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন অনেকেই। যেমন ছিলেন আন্দ্রে রাসেলের মতো কলকাতা নাইট রাইডার্সে দীর্ঘ দিনের খেলোয়ার, তেমনই ছিলেন শাকিব আল হাসান, লিটন দাসের মতো খেলোয়ারও। সবাইকে পিছনে ফেলে শ্রেয়স আয়ারের বদলি হিসাবে নীতীশ রানাকে বেছে নিল কলকাতা। এত নাম থাকতে নীতীশ বা কেন?

নীতীশ অধিনায়কত্বের ব্যাপারে যে নতুন, এমনটা বলা যাবে না। কারন সাদা বলের ক্রিকেটে দিল্লিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তাছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে অনেক। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার তেমন অভিজ্ঞতা নেই। দু’টি ফরম্যাট মিলিয়ে খেলেছেন মাত্র তিনটি ম্যাচ। এছাড়া নীতীশের অধিনায়ক হওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণও দেখানো হয়েছে।
প্রথমত: নাইট কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত সব সময়ই চেয়েছেন দেশীয় ক্রিকেটার অধিনায়ক। তাঁর মতে,নীতীশ বাদে আর কোনও দেশীয় ক্রিকেটার প্রতি ম্যাচেই সুযোগ পাবেন না এটা নিশ্চিত। দ্বিতীয়ত:অতীতে অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা তাঁকে বাকিদের থেকে এগিয়ে রেখেছে। সীমিত ওভারে তিনি দিল্লির অধিনায়কত্ব খুব একটা খারাপ করেননি।
তূতীয়ত:নীতীশ দলে সবার পছন্দের ক্রিকেটার। কোচ চন্দ্রকান্তও তাঁকে পছন্দ করেন। ঠান্ডা মাথার খেলোয়াড়। সবাইকে নিয়ে চলতে পারেন। টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক ভাবে ভাল ফল করতে গেলে যা দরকার। চতুর্থত: ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের দায়িত্ব রাসেলের ঘাড়ে। অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে আরও চাপে ফেলতে চায়নি কেকেআর।
শেষ পর্যন্ত শ্রেয়স আয়ারের বদলি অধিনায়ক হিসাবে নীতীশ রানাকে বেছে নিল কলকাতা
পঞ্চমত: শাকিব, লিটনকে নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি করেছে। এ রকম কাউকে অধিনায়ক করা হলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই তাদের মধ্যে থেকে অধিনায়ক নির্বাচন করতে চায়নি কেকেআর।