নজরবন্দি ব্যুরো: কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে শুরু হয়েছে লকডাউন, কেন্দ্রের তরফ থেকেও কোভিড অ্যালার্ট দেওয়া হয়েছিল আরো ৫ রাজ্যকে। করোনা করোনা আর করোনা, গত ১ বছর ধরে গোটা বিশ্বকে এক্কেবারে বাড়িতে ঢুকিয়ে দিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। এদিকে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছানোর পর এই ভাইরাসের প্রভাব কিছুটা কমতে শুরু করেছিল আমাদের দেশে। কিন্তু ফের আশঙ্কা করা হচ্ছে দ্বিতীয় ওয়েভের। কারণ গত সাত দিনে হুহু করে ফের দেশজুড়ে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। লকডাউনের সম্ভাবনা উস্কে দিয়ে কেন্দ্র জারি করল একাধিক নিষেধাজ্ঞা, না মানলে ফের জারি হবে লকডাউন!
আরও পড়ুনঃসাতসকালেই কয়লা কাণ্ডে নয়া মোড়, অভিষেক শ্যালিকার বাড়িতে হানা CBI-এর!
বছর শুরুর থেকেই ধীরে ধীরে কমছিল কোভিডের আতঙ্ক। মানুষ স্বস্তিতে বেরচ্ছিলেন বাইরে। এসবের মধ্যেই ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র। বেশ কয়েকদিন ধরেই মহারাষ্ট্রের করোনা গ্রাফ উর্দ্ধমুখী। দুটি জেলায় শুরু হয়েছে লকডাউন। আর এই আতঙ্ক ফের ধীরে ধীরে ছড়াচ্ছে গোটা দেশে। মহারাষ্ট্রে ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন ৬ থেকে ৭ হ্াজার মানুষ। ইতিমধ্যেই ২ দিনের লকডাউন জারি করা হয়েছে সরকারের তরফে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার পর্যন্ত লকডাউন থাকবে অমরাবতীতে। ইয়াবতমালে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু গ্রাফ ক্রমশ উর্দ্ধমূখী হওয়ায় এবার গোটা রাজ্যে লকডাউনের হুঁশিয়ারি দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনি এদিন স্পষ্ট জানান, এত দিন ধরে কমেছিল কোভিডের গ্রাফ। কিন্তু এখন দিনে আক্রান্ত হচ্ছেন ৬-৭ হাজার মানুষ। কয়েকদিন আগেও এই পরিসংখ্যান ছিল ২-৩ হাজার। এভাবে চলতে থাকলে গত বছরের পিক টাইমের গ্রাফ ছাড়িয়ে যাবে।
ভারতের মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্র নয়, হুহু করে সংক্রমণ বাড়ছে কেরল, পাঞ্জাব, ছত্তীসগড় ও মধ্যপ্রদেশে। কেন্দ্র জানিয়েছে এই প্রত্যেকটি রাজ্যে কঠোরভাবে পালন করতে হবে সুরক্ষা বিধি। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে সবথেকে বেশি কাজ করছে লোকাল ট্রেন। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই লোকাল ট্রেনে ৩০০ জন মার্শাল নিযুক্ত করেছে। জানানো হয়েছে কোনও যাত্রী মাস্ক ছাড়া যাত্রা করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে কর্পোরেশনের তরফে।
ফের জারি হবে লকডাউন! মুম্বাই তে ১০ হাজারের বেশি বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে কোনও বিল্ডিংয়ে ৫ জনের বেশি করোনা আক্রান্ত থাকলে সেই বিল্ডিং সিল করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। পাশাপাশি যেকোন রেস্তোরা বা অনুষ্ঠান বাড়িতে আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি উপস্থিতি চলবে না। গত কাল উদ্ধব ঠাকরে এটাও ঘোষণা অরেন, আগামীকালের পর থেকে মহারাষ্ট্রে কন ধরনের ধর্মীয় বা রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করা যাবেনা। সকলকে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথা বলেছেন। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিষয়ে আগামী ৮ থেকে ১৫ দিন দেখবে প্রশাসন। যদি সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনরকমের সচেতনতা তৈরি না হয়, গ্রাফ যদি বাড়তেই থাকে, তাহলে ফের গোটা রাজ্যে লকডাউন জারি করবে সরকার।