SSC: উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ এসএসসি-কে, সময় বেঁধে নির্দেশ হাইকোর্টের

উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ এসএসসি-কে, সময় বেঁধে নির্দেশ হাইকোর্টের
Calcutta high Court has instructed the School Service Commission to publish detailed merit list of upper primary

নজরবন্দি ব্যুরোঃ উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে। অন্তত সাত বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগ আটকে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে। এবার চাকরিপ্রার্থীদের জন্যে কিছুটা সুখবর দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বা যৌথ বেঞ্চ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউয়ের প্রাপ্ত নম্বর, অনলাইন আবেদনপত্র-সহ যাবতীয় তথ্য দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করতে।

আরও পড়ুনঃ সাতসকালেই কালীঘাটের কাকুর বাড়িতে ইডি হানা, তল্লাশি চলছে একাধিক ফ্ল্যাটে।

স্কুল সার্ভিস সূত্রে খবর, সাম্প্রতিক কালে উত্তরপত্র নিয়ে বিতর্কের জেরে তারা ফের উত্তরপত্র খতিয়ে দেখেছে। মোট ১৪,০৫২ উত্তরপত্রের মধ্যে বাতিল হয়েছে ১৪৬৩। তার ফলে মেধা-তালিকা তৈরি হয়েছে ১২,৫৮৯ জনের। চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেছেন, এসএসসি ইন্টারভিউয়ের পরে ফের উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে। সে-ক্ষেত্রে ফের অনলাইন আবেদনের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। কারণ, এসএসসি-র অন্যান্য নিয়োগে ইতিমধ্যেই উত্তরপত্র বিকৃত করে নম্বর কমানো-বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।

উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ এসএসসি-কে, সময় বেঁধে নির্দেশ হাইকোর্টের
উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ এসএসসি-কে, সময় বেঁধে নির্দেশ হাইকোর্টের

এর পাশাপাশি গত সাত বছর ধরে নিয়োগ আটকে থাকার ফলে শূন্য পদও বেড়েছে। সেই শূন্য পদের সংখ্যাও ‘আপডেট’ করা উচিত বলে জানান তিনি। তাঁর দাবি, শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী ৬-১৪ বছর পর্যন্ত প্রত্যেক শিশুর শিক্ষার অধিকার আছে। তাই উচ্চ প্রাথমিকে যত শূন্য পদ আছে, সব ক’টিই পূরণ করতে হবে। অথচ এসএসসি সাত বছর আগের শূন্য পদ ধরে বসে আছে।

উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ এসএসসি-কে, সময় বেঁধে নির্দেশ হাইকোর্টের

SSC: উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ এসএসসি-কে, সময় বেঁধে নির্দেশ হাইকোর্টের

উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকের সেই নিয়োগ আটকে আছে ২০১৬ সাল থেকে। নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদের নিয়োগ আটকে যায়। ২০২০ সালে প্যানেল বাতিল হয় আদালতের নির্দেশে। কিছুদিন আগেই এসএসসি-র চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, আদালত অনুমতি দিলেই কাউন্সেলিং শুরু হবে। তিনি বলেছিলেন, সমস্ত ওএমআর খতিয়ে দেখা হয়েছে, তাই বেশি সময় লেগেছে। কাদের ওএমআরে গরমিল? সেই তথ্যও আদালতে পেশ করবে কমিশন। কতজনের তালিকায় নাম থাকবে, কতজনের নাম বাদ গেল সেটাও উল্লেখ করা হবে।