নজরবন্দি ব্যুরোঃ লাগাতার পড়ছে টাকা। সেই সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারও। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সোনার চাহিদায় লাগাম টান টানতে বাড়ানো হয়েছে আমদানি শুল্ক। এক লাফে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে ৫ শতাংশ। এর পাশাপাশি পেট্রোল, ডিজেল এবং বিমানের জ্বালানিতে বাড়ানো হয়েছে রফতানি শুল্ক। ফলে দেশে সোনার দাম চড়চড়িয়ে বাড়তে শুরু করেছে। আজও সেই মূল্য বৃদ্ধি অপরিবর্তিত থাকল।
আরও পড়ুনঃ হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন ঐন্দ্রিলা, অবস্থা আরও সঙ্কটজনক
করোনার সময়ে ব্যবসা কার্যত লাটে উঠেছিল। ক্ষতির কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে? চলতি বছরের বাজেট পেশের সময়ে হিরে-রত্ন বাজারকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। গত বছর, ২০২১ সালে বাজেটে সোনা ও রূপো আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছিল। আগে আমদানি শুল্ক ছিল ১২.৫ শতাংশ, তা কমিয়ে করা হয় ৭.৫ শতাংশ। এবার সোনায় আমদানি শুল্ক ৭.৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ১২.৫ শতাংশ।
মাত্র ৯ দিন আগে, নভেম্বর মাসের মাসের ৮ তারিখে ২৪ ক্যারট সোনার ১০ গ্রামের মূল্য ছিল ৫১ হাজার ৫০ টাকা। আর আজ সেই দাম দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৩৬০ টাকা। অর্থাৎ ১ গ্রাম পিছু ১৩১ টাকা আর ১০ গ্রাম পিছু সোনার দাম বেড়েছে ১ হাজার ৩১০ টাকা। পাশাপশি দাম বেড়েছে ২২ ক্যারট সোনারও। চলতি মাসের ৮ তারিখে ২২ ক্যারট সোনার ১০ গ্রামের মূল্য ছিল ৪৬ হাজার ৮০০ টাকা। সেই দাম আজ দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার টাকায়। অর্থাৎ প্রতি ১০ গ্রাম পিছু ১২০০ টাকা দাম বেড়েছে সোনার।
স্বর্নপ্রেমীদের জন্যে খারাপ খবর শুরু হয়েছে সেই করোনার সময় থেকেই, আজও এক ধাক্কায় ১৩০০ টাকা দাম বাড়ল সোনার
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল অনুসারে, গত বছর থেকে সোনার চাহিদায় ব্যাপক তেজি দেখা গিয়েছে। অতিমারিকালে চাহিদা অনেকটা কমে গিয়েছিল। পরে সোনা কেনার হিড়িক পড়ে। ভারতে সোনা শুধু গয়না হিসেবে পরা হয় না। নানা উৎসবে শুভ বলেও মনে করা হয়। আর বিয়ের অনুষ্ঠানে সোনা ছাড়া চলে না। সে কারণে বিয়ের মরসুমে সোনার চাহিদাও বেড়ে যায়। পরিসংখ্যান বলছে ২০২১ সালে দশকের সব থেকে বেশি সোনা আমদানি করেছে ভারত।