অবশেষে কেন্দ্রের পিএম কিসান মানছে রাজ্য, থাকছে শর্তও।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ অবশেষে কেন্দ্রের পিএম কিসান মানছে রাজ্য, থাকছে শর্তও। ভোটের আগে মানুষের স্বার্থে পিএম কিসান প্রকল্পটি কার্যত মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি জানিয়েছেন আগে আবেদনকারী কৃষকদের তথ্য দিক কেন্দ্র, তারপর তা খতিয়ে দেখবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ‘জেসব কৃষকদের দু-এক একর জমি আছে, অতিরিক্ত কিছু টাকা পেলে তারা পাক’, এতে ত রাজ্য সরকারের কোন অসুবিধে হয়ার কথা নয়। এ বিষয়ে তোমরকে একাধিকবার চিঠি লিখছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ ‘সবটাই প্রচারের জন্য’, জন্মদিনেও মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দিলীপের।
টাকার হিসেব করে রাজ্যকে দেওয়া হোক, রাজ্য সরকার নিজেই তা ক্রিসক-উপভক্তাদের হাতে তুলে দেবে। যদিও কেন্দ্র এখনও সেই প্রস্তাব মেনে নেয়নি। কেন্দ্রের এই রাজি না হওয়ার পিছনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন এর পিছনে কেন্দ্রের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। ভোটের আগে কেন্দ্র ইচ্ছাকৃত ভাবে অনুমতি দিচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন ‘‘আমি নিজে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে ফোন করে বলেছি, তোমরা কেন রাজ্য সরকারকে বিশ্বাস করছ না? ট্রেজারির মাধ্যমে যে টাকা যায়, তা অডিট হয় ক্যাগের মাধ্যমে।
তার পরেও আমাকে বলা হল, তারাই প্রকল্প করবে। ওদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বুঝে গেলাম। আমার কাছে কোনটা বড়? ওরা নরেন্দ্র মোদীর নামে দু’-এক লক্ষ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চিঠি পাঠাবে, আর বলা হবে কৃষকেরা নাকি ২০ লক্ষ টাকা পাবে! তাই বললাম, যা-ই করো, তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত জানাও।’ কৃষকদের সাহায্য কে করবে কেন্দ্র নাকি রাজ্য সে নিয়ে উভয়ের মধ্যে চলছে বিতর্ক।
কেন্দ্র অভিযোগ করছে রাজ্যের নামে, আর রাজ্য অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রের দিকে। মমতা জানাচ্ছে কেন্দ্র হটাত করেই রাজ্যকে না জানিয়ে একটি পোর্টালে ইচ্ছুক কৃষকদের নাম নিয়েছে কেন্দ্র। যাঁর ফলে রাজ্য কিছুই জানতে পারেনি কৃষকদের সম্পর্কে। মমতার অভিযোগ, রাজ্যকে এড়িয়ে একটি পোর্টালে ইচ্ছুক কৃষকদের নাম নিয়েছিল কেন্দ্র। ফলে তাঁরা উপভোক্তাদের সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেননি। আর এদিকে কেন্দ্র দোষারোপ করছে রাজ্যকে, জে রাজ্য সঠিক তথ্য দিচ্ছেনা রাজ্যকে। মমতা বলেন, ‘‘রাজ্যের পোর্টালে যে ইচ্ছুক কৃষকদের নাম রয়েছে, সেগুলো নিচ্ছে না।
পাছে আমাদের কাছে তথ্য থাকে, তাই কেন্দ্রীয় একটি পোর্টাল করে ২০-২২ লক্ষ লোকের নাম নিয়েছে। আমাকে বলছে, যাচাই-তথ্য পাঠাচ্ছ না, তাই দেওয়া যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন বাংলার কৃষকরা তাঁর কাছে গর্বের। কৃষক দেদ্র নিয়ে তিনি কোনোভাবেই রাজনীতি করতে দেবেন না, তিনি এও বলেন জে কৃষকদের স্বার্থে জে কাজ কেন্দ্র করছে তাতে তিনি রাজনীতির অভিসন্ধির কথা বলেননি, তিনি শুধুমাত্র সথিক তথ্য চান, যাতে রাজ্যের কাজে সুবিধে হয়। গত লোকসভা ভোটের আগে থেকেই কেন্দ্রের পিএম কিসান এবং রাজ্যের কৃষকবন্ধু প্রকল্প নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে টানাপোড়ন বারছে রাজ্য আর কেন্দ্রের। তুলনা উঠে আসছে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সাথে।
যেখানে কৃষকবন্ধুতে প্রতি বছর পাঁচ হাজার করে টাকা পান কৃষকেরা। এমনকি, এক কাঠা জমি থাকলেও দেড়-দু’হাজার টাকা পাওয়া যায় প্রতি বছর। আবার কৃষকের মৃত্যু হলে পরিবার ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ পায়। আর পিএম কিসান দেবে ৬ হাজার টাকা, সেদিক থেকে এগিয়ে আছে রাজ্যের প্রকল্প বলে মনে করছেন অনেকেই। এছাড়া এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন রাজ্যের কৃষক বন্ধু প্রকল্প অনেক আগেই শুরু হয়েছে।
অবশেষে কেন্দ্রের পিএম কিসান মানছে রাজ্য, থাকছে শর্তও। তাতে প্রাত ৭০ লক্ষ মানুষের সহায়তা পেয়েছে রাজ্যের কৃষকরা। আবারও তুলনা করেন পিএম কিসানের সাথে, কেন্দ্রের প্রকল্পে ২০-২২ লক্ষ কৃষক সুবিধা পাবে রাজ্যের মানুষ সেখানে অনেক এগিয়ে আমাদের রাজ্য বলে মনে করছেন তিনি। রাজ্যের ভোটের আগে মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রের পি এম কিসান মেনে নেবেন তিনি, কেবল সঠিক তথ্য চায় রাজ্য।