নজরবন্দি ব্যুরোঃ বিশ্বকাপের দোরগোড়ায় নিজের ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড নিয়ে বিতর্কের আগুন জ্বেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ব্রিটেনের জনপ্রিয় টক শো-তে এসে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সিআর সেভেন। কোন রকম রাখঢাক না রেখেই স্পষ্ট জানিয়েছেন, ম্যান ইউয়ে তিনি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপের সময় এক মাস যুদ্ধবিরতির আবেদন জানালেন ফিফা সভাপতি
ম্যান ইউ কোচ তাঁকে দল থেকে ছেঁটে ফেলতে চেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন রোনাল্ডো। এই সাক্ষাৎকারের আগের পর্বে দেখা গেছে, রোনাল্ডো বলেছেন, কোচ নাকি তাঁকে সম্মান করেন না। আর এবার সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডো বলেছেন তাঁর ও জিওর্জিনার যমজ সন্তান জন্মেছিল চলতি বছরের এপ্রিলে।

মেয়েটি সুস্থ থাকলেও পুত্র সন্তান মারা যায়। এই ঘটনায় রোনাল্ডো একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘বাবার মৃত্যুর পর এই ঘটনাটা জীবনে সবচেয়ে বড় দুঃখ দিয়েছে আমাকে। সন্তান জন্মের সময় সব মা–বাবাই চায় সবকিছু ঠিকঠাক হোক। তাই সন্তান মৃত্যুতে আমি ও জিওর্জিনা একেবারে ভেঙে পড়ি। জীবনের ওই সময়টা সত্যিই ভীষণ কঠিন ছিল।’
রোনাল্ডো বলেছেন, এর আগে কখনও এরকম পরিস্থিতিতে পরিনি। একদিকে আনন্দ হচ্ছিল, অন্যদিকে এক সন্তানের মৃত্যুতে বুক ভেঙে যাচ্ছিল। রোনাল্ডোর কথায়, ‘বুঝতে পারিনি ওই পরিস্থিতিতে হাসব না কাঁদব।’ রোনাল্ডোর কথায়, ‘ওটাই আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়।’ ওই সময় ওর পাশে থাকা খুব জরুরি ছিল। প্রি-সিজনও তাই মিস করেছিলাম। ব্যাপারটা আমি ম্যান ইউ ডিরেক্টর, প্রেসিডেন্টকেও জানিয়েছিলাম।

বিষয়টা যে গুরুতর, তা ওরা মানতেই চায়নি। আমার দুশ্চিন্তার কোনও মূল্য ওদের কাছে ছিল না। কিন্তু আমি প্রি-সিজনে যোগ না দিয়ে ভুল করিনি। ওই সময় প্রি-সিজনের চেয়েও পরিবারের পাশে থাকা বেশি দরকার ছিল।’’ বিস্ফোরক-সাক্ষৎকারের প্রভাব পড়েছে পর্তুগাল শিবিরেও।
আমার সন্তানের মৃত্যু ক্লাব কর্তার গুরুত্ব দেননি, ফের বিস্ফোরক CR7
ম্যান ইউয়ে রোনাল্ডোর টিমমেট ব্রুনো ফার্নান্ডেজ জাতীয় দলেও তার সতীর্থ। লিসবনে পর্তুগাল শিবিরে যোগদানের সময় রোনাল্ডোর সঙ্গে ব্রুনোর করমর্দনে শৈত্যতার ছাপ স্পষ্ট। এখন দেখার এই ঘটনা সি আর সেভেনের না দলের খেলার উপর কতটা প্রভাব ফেলে।