নজরবান্দি ব্যুরো: এগরায় ভানু বাগের কারখানায় এর আগেও বার দুই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ভানুর বেআইনি বাজি কারখানায় ১৯৯৫ সালে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে। সে বার পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০১ সালে ফের বিস্ফোরণ কেড়ে নেয় ভানুর নিজের ভাই-সহ তিন জনের প্রাণ। ওই বেআইনি বাজি কারখানা যে আসলে সাক্ষাৎ মৃত্যুফাঁদ, সেটা ভাল করেই জানতেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ফের জামিনের আবেদন অনুব্রতর, শুনানি ২৩শে মে
তবু কারখানায় শ্রমিক জোগাড় করতে অসুবিধা হত না কৃষ্ণপদ বাগের। কোন জাদুতে? ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর যুক্তি দিল তৃণমূল। এগরা-কাণ্ডের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল বকেয়া ইস্যু। কেন্দ্রের টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলেই নাকি বাংলার মানুষ বাধ্য হয়ে বাজি কারখানায় কাজ করছেন। এমনটাই দাবি করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।
অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে এমনই অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল। তাদের দাবি, কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না বলেই স্থানীয় মানুষজন বাজি কারখানায় কাজ করছেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বারবার সরব হয়েছে শাসক দল। আর এগরার বিস্ফোরণ নিয়ে যখন রাজ্য প্রশাসনের দিকে আঙুল উঠতে শুরু করেছে, তখনই এই অভিনব যুক্তি সামনে আনল তৃণমূল।

আসলে এগরার প্রান্তিক ওই এলাকার মানুষের দারিদ্রকে কাজে লাগাত ভানু বাগ। ওই এলাকার অধিকাংশ পরিবারই দিন-আনা দিন খাওয়া। শ্রমই তাঁদের জীবিকা নির্বাহের উপায়। স্থানীয় সূত্র বলছে, গ্রামের গরিব শ্রমিকদের কম সময়ে বেশি পারিশ্রমিকের লোভ দেখিয়ে, কখনও ভয় দেখিয়ে কখনও প্রতারণা করে ঋণের জালে জড়িয়ে নিজের কারখানায় কাজ করতে বাধ্য করাত ভানু বাগ।
এগরা বিস্ফোরণে মৃত্যুর পিছনে কেন্দ্রের বঞ্চনা! বলছে তৃণমূল
কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় অনেক গ্রামবাসীই নিশ্চিত রোজগারের শেষ আশাটাও হারিয়েছিলেন। সেই রোজগারহীন গ্রামবাসীদের সহজেই ফাঁদে ফেলতে পারতেন ভানু।