নজরবন্দি ব্যুরোঃ গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে মরিয়া ইডি। এবার অনুব্রতর দুবরাজপুর মামলায় যাবতীয় নথি তলব করল তদন্তকারী সংস্থা। এবিষয়ে সমস্ত নথি চেয়ে দুবরাজপুর আদালতে ইডি। অনুব্রতর মণ্ডলের পুলিশি হেফাজতের ৭২ ঘন্টার মধ্যেই পদক্ষেপ নিল ইডি।
গরু পাচার মামলায় এর আগে অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। এরপর অবশ্য অনুব্রতকে হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইডিও। সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের তরফে অনুমোদন মিলেছে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পুরাতন একটি খুনের ষড়যন্ত্রের মামলায় অনুব্রতকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেষ্টর বিরুদ্ধে অভিযোগ, জোর করে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাঁকে সরিয়ে দেন অনুব্রত। কিন্তু ৬ মাস পরে ফের পঞ্চায়েত প্রধান হন তিনি। শিবের কথায়, দল ছাড়ার কথা অনুব্রতর কানে পৌঁছতেই তাঁকে দুবরাজপুর তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। দলে সম্মান না পেয়ে দল ছাড়ার কথা বলতেই অনুব্রত তাঁর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাহলে এত দিন পর অভিযোগ কেন? শিবঠাকুরের বক্তব্য, অনুব্রত বাইরে থাকলে এই সাহস হত না। এখন জেলে রয়েছে বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। অভিযোগ করার পরেও নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন শিবঠাকুর।
অনুব্রতর দুবরাজপুর মামলায় যাবতীয় নথি তলব, ময়দানে নামল ইডি
কেষ্টর দিল্লি যাত্রা রুখতে দিল্লি যাত্রা রুখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের তরফে এই অভিযোগের সুর সপ্তমে চড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে শিবঠাকুরের এক আত্মীয়ের দাবি, এর আগেও চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এমনকি টাকার বিনিময়ে কেষ্টর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শিবঠাকুর। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিবঠাকুর। কিন্তু কোন বছরের ভিত্তিতে এই অভিযোগ? তা এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।