নজরবন্দি ব্যুরোঃ এবার পালা দীপেন্দুর, ভুল স্বীকার করে দলে ফিরতে চেয়ে মমতাকে চিঠি ফুটবলারের। অবশেষে মোহভঙ্গ। রাজ্যে ভোট মিটতেই একে একে দলবদল করা অনেক নেতাই ফিরতে চেয়েছেন তৃণমূলে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসের নাম। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তিনি জানিয়েছেন ভোটের আগে যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।
আরও পড়ুনঃ ভোটকেন্দ্রিক হিংসায় ঘরছাড়াদের ফেরাতে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের।
এবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে মমতার অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চান। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন দীপেন্দু। তারপরেই নারদা মামলা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলে তিনি বলেন “করোনা পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তৃণমূলের ২ মন্ত্রী, একজন বর্তমান বিধায়ক ও একজন প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।” তারপর থেকেই তাঁর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। সেই জল্পনা অবশেষে সত্যি হল।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। মাত্র ১,৫৮৬ ভোটে বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের কাছে হেরে যান দীপেন্দু। তবে দীপেন্দুকে বসিরহাটে সংগঠনের দায়িত্বে রেখে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর আস্থার মর্যাদা দিয়ে ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে ফের দীপেন্দুকে প্রার্থী করেন তিনি। সেই শমীক ভট্টাচার্যকেই ২৪ হাজার ৫৮ ভোটে হারান বসিরহাটের ঘরের ছেলে মিঠু।
এবার পালা দীপেন্দুর, ভুল স্বীকার করে দলে ফিরতে চেয়ে মমতাকে চিঠি ফুটবলারের। তৃণমূল অবশ্য এবার তাঁর ওপর ভরসা রাখতে পারেনি। ফলে টিকিট না পেয়ে অভিমানে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দীপেন্দু। যদিও বিজেপিতে গিয়েও দীপেন্দুর কোনও লাভ হয়নি। সেখানে গিয়েও বিজেপির প্রার্থী হতে পারেননি দীপেন্দু। তাঁকে দলের রাজ্য কমিটির স্থায়ী সদস্য করা হয়েছিল। বিজেপিতে যোগদান করলেও ভোটের প্রচারে দেখা যায়নি দীপেন্দুকে। অবশেষে বিজেপি ত্যাগ করেন তিনি।