দিদিমণির দলে ভাঙন ধরেছে, একের পর এক উইকেট পড়ছে, কটাক্ষ দিলীপের

নজরবন্দি ব্যুরো: সামনেই একুশের নির্বাচন। কবে শুরু হবে নির্বাচন সে বিষয়ে কিছু জানা না গেলেও তবে নির্বাচনের আগেই যেন দল ত্যাগের হিড়িক পড়ছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে। মঙ্গলবারই বিধায়ক বাদে বাকি সমস্ত পদ ছেড়ে সকলকে চমকে দেন মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। আর ভোটের আগে হাওড়া শহরের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতির এই পদত্যাগ প্রসঙ্গে শাসকদলকে একহাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগ যথেষ্ট ‘ইঙ্গিতবাহী’, দাবী বৈশালীর।
মমতাকে নজিরবিহীন আক্রমন করে দিলীপবাবু বলেন, “রোজই দিদির উইকেট পড়ছে।” মঙ্গলবার দুপুরে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ । বৈঠক শেষে মধ্যাহ্নভোজ সেরে রওনা হন বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের কুড়মুনের উদ্দেশ্যে। সেখানে একটি জনসভায় যোগ দেন এই মেদিনীপুরের সাংসদ । ওই সভায় দাঁড়িয়েই লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগ থেকে শুরু করে রেশন-আমফান ‘দুর্নীতি’, সমস্ত ইস্যুতেই মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলকে একহাত নেন দিলীপ।
এরপর তিনি বলেন, “দিদিমণির দলে ভাঙন ধরেছে। একের পর এক উইকেট পড়ছে। এখন কারও ফোন ধরতেও ভয় পাচ্ছেন উনি। যারা সকালে দিদিমণির সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করছেন, ফিরে দুপুরেই দল ছাড়ছেন।” এদিন জনসাধারণের ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেন। এদিকে তাঁর এহেন কাজকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েন না দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই কাজকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেন দিলীপ।
সেইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরকে খোঁচা দিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, “ভাইপো উত্তরবঙ্গ গিয়েছেন দেখতে সেখানে দল বলে আর কিছু অবশিষ্ট আছে কি না!” এদিন ফের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সরাসরি আক্রমণ করেন দিলীপ। খাদ্যমন্ত্রীকে ‘চালচোর’ বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “রেশনের চাল হোক বা আমফানের ত্রাণ, কোনও চোরই রেহাই পাবে না। মে মাসের পর সবাইকে জেলে পাঠাবো।”
দিদিমণির দলে ভাঙন ধরেছে, পাশাপাশি, সভা থেকে রাজ্যবাসীকে কর্মসংস্থানের আশ্বাস দেন দিলীপ। তাঁর বক্তব্য, “একুশের পর রাজ্যবাসীর আর কোনও সমস্যা থাকবে না। কাউকে চাকরি, পড়াশোনা বা চিকিতসার জন্য রাজ্যছাড়া হতে হবে না। সবটাই মিলবে বাংলায়।”