নজরবন্দি ব্যুরোঃ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষক পদে ২৬৯ জনকে বাতিল করার পরেই রাজ্যজুড়ে সেই ছবি একেবারে পরিষ্কার। এরই মধ্যে বোমা ফাটালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, কারা কারা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, আমার কাছে পুরো লিস্ট আমার কাছে রয়েছে। সেইসঙ্গে তৃণমূলের তৃণমূলের চাকরি পাওয়ার তালিকা আমার কাছে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ IPL এ দু’বার সৌরভের আমন্ত্রণ ফিরিয়েছেন রামিজ! কিন্তু কারন কি? জানালেন PCB প্রধান
সম্প্রতি টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া নিয়ে একটি অডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেই অডিও প্রসঙ্গে সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্নার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পরিবর্তে লকেটের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। শনিবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে কার্যত বোমা ফাটালেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই তাঁর কাছে বহু তথ্য প্রমাণ আছে। এ রকম বহু তথ্য আমাদের কাছে আসছে আমাকে মেলেও পাঠাচ্ছেন। কোন কোন লোক চাকরি পেয়েছেন, আমার কাছে একটা পুরো লিস্ট এসেছে।
বিজেপির সাংসদের দাবি, শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে তৃণমূলের কত জন নেতা নেত্রী চাকরি পেয়েছেন, তার ৯৭ জনের তালিকা আমার কাছে এসেছে। আমরা সেই তালিকা দেখেছি। পরে সংবাদমাধ্যমকে সেই তালিকা দেবো। দিলীপ ঘোষের কথায়, মামলা যখন হয়েছে সেটা বিচার্য বিষয়। বিচার হলেই বোঝা যাবে, কে ঠিক আর কে ভুল।
তৃণমূলের চাকরি পাওয়ার তালিকা আমার কাছে রয়েছে, খুব শীঘ্রই প্রকাশ করবেন দিলীপ ঘোষ
গতকালই আদালতের নির্দেশে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিলের পর সেই চাকরি পেয়েছেন ববিতা সরকার। সেই পসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, আদালতের নির্দেশ সবাইকে মানতে হবে। ব্যাপক দুর্নীতি যে হয়েছে, এটা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে সব ক্ষেত্রেই। এখন সরকারের কর্তব্য সেটাকে ঠিক করা। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার অধিকার আছে। তাদের চাকরি দেওয়া যারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন পরীক্ষা না দিয়ে ফেল করে স্বাভাবিকভাবেই তাদের বাতিল করছে আদালত। এমনকি পরেশপ অধিকারী খাদ্যমন্ত্রী থাকালীনও দুর্নীতি করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।