Dilip Ghosh: অবৈধ কয়লা খনির কারণে রানিগঞ্জের অবস্থা যোশীমঠের মতো, মন্তব্য দিলীপের

Dilip Ghosh: অবৈধ কয়লা খনির কারণে রানিগঞ্জের অবস্থা যোশীমঠের মতো, মন্তব্য দিলীপের
Dilip Ghosh on Raniganj Situation

নজরবন্দি ব্যুরোঃ যোশীমঠের মতো একই অবস্থা হতে পারে রানিগঞ্জেও। রানিগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবৈধ কয়লা খনির কারণে রানিগঞ্জের অবস্থা যোশীমঠের মতো। এমনটাই মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুনঃ BJP: টার্গেট আসন নিয়েও ভিন্ন সুর দিলীপ-সুকান্তর, নাড্ডার সফরের আগে বঙ্গ বিজেপিতে ফাটল

তাঁর কথায়, নিজেরাই মানুষকে বিপদে ফেলে কেন্দ্রকে দোষ দিচ্ছেন। পাহাড়ে যা হচ্ছে তা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। আর এখানে তো মানুষের তৈরি বিপদ। অবৈধ কয়লা খনি আগে বন্ধ করা হোক। দাবি বিজেপি সাংসদের। যদিও এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রানিগঞ্জ নিয়ে গত ১০ বছর ধরে আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করছি। কিন্তু কেন্দ্রের আওতায় থাকা কোল ইন্ডিয়া এ বিষয়ে উদাসীন। তারা প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। এলাকার মানুষকে ঘর তৈরি করে দিতে হবে, নাহলে হঠাৎ ধস নামলে ২০ হাজার মানুষ মারা যাবেন। তারপরেই দিলীপের এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে।

অবৈধ কয়লা খনির কারণে রানিগঞ্জের অবস্থা যোশীমঠের মতো, দাবি দিলীপ ঘোষের 
অবৈধ কয়লা খনির কারণে রানিগঞ্জের অবস্থা যোশীমঠের মতো, দাবি দিলীপ ঘোষের

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে ডুবন্ত শহরে পরিণত হয়েছে যোশীমঠ। একের পর এক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এখন আশঙ্কাজনক। ভাঙা পড়তে চলেছে বহু বাড়ি। এবার একই পরিস্থিতি দেখা দিয়ে রানিগঞ্জেও। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোলিয়ারি অঞ্চলে ভুগর্ভস্থ মাটি তুলে নেওয়ার পর সেখানে শূন্যতা তৈরি হয়। সেখানে ভরাট করার আর কোনও জায়গা থাকে না। নীচে শূন্যতা এবং ওপর থেকে চাপ তৈরি হওয়ার ফলে ফাটল দেখা দিয়েছে। ঠিকমতো ভরাট না হলে আগামী দিনে বিপদ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

অবৈধ কয়লা খনির কারণে রানিগঞ্জের অবস্থা যোশীমঠের মতো, দাবি দিলীপ ঘোষের 

অবৈধ কয়লা খনির কারণে রানিগঞ্জের অবস্থা যোশীমঠের মতো, দাবি দিলীপ ঘোষের 
অবৈধ কয়লা খনির কারণে রানিগঞ্জের অবস্থা যোশীমঠের মতো, দাবি দিলীপ ঘোষের

গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের কথায়, ধস-প্রবণ রানিগঞ্জের উন্নয়ন সহ পুনর্বাসনের জন্য ২৬০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু, তার মধ্যে কয়েক দফায় ১৫০ কোটির মতো টাকা দিয়েছে। তাই কাজ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।