নজরবন্দি ব্যুরোঃ নাকচ আবেদনে! আনিসুর প্রসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ে হতাশ সরকার। তৃণমূল নেতার খুনের দায়ে একসময় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আনিসুর রহমান। কুরবান আলি শাহ খুনের ঘটনায় এবার নয়া মোড় আনছিল রাজ্য সরকার। জেলবন্দি আনিসুর রহমানের মামলা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তমলুক জেলা আদালতে ইতিমধ্যেই মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত নির্দেশও গিয়েছিল। আনিসুরের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা তোলায় স্পষ্ট ‘না’ জানালো উচ্চ আদালত। আনিসুর প্রসঙ্গে হাইকোর্টের
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের! হুলুস্থুল কালীঘাটে।
২০১৯-এ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন আনিসুর। সে বছরই তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হন আনিসুর। বিজেপি সেসময় জানিয়েছিল তৃনমূলই জেলে ঢোকাচ্ছে আনিসুরকে। কিন্তু ২১এর নির্বাচনের আগেই মোড় ঘুরছিল আনিসুর মামলায়। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ফের উঠে এসেছিল আনিসুরের নাম। ২০০৭ সালে এই আনিসুরের বাইকে চেপেই নন্দীগ্রামে ঢুকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মমতার মুখেই নির্বাচনের আগে আনিসুরের নাম উঠে আসায় শুরু হয়েছিল জল্পনা।
তার পর হঠাতই জেলবন্দি আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে থাকা মামলা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য সরকার। তমলুক জেলা আদালতে মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত নির্দেশও গিয়েছিল। সেই মতো তমলুক জেলা আদালত আবেদন করে হাই কোর্টের কাছে। কিন্তু আজ সেই মামলায় স্পষ্ট ‘না’ করলো কলকাতা হাইকোর্ট।
আনিসুরের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ এলে কুরবান আলি শাহ-এর আইনজীবী দ্বারস্থ হন হাইকোর্টের। আর তাতেই আজ রায় দিলো রাজ্যের শীর্ষ আদালত।আদালতের তরফে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকাই চাইলেই কোন মামলা প্রত্যাহার করতেই পারে, তবে তার পিছনে নির্দিস্ট কোন কারন থাকতে হবে। রাজ্যের তরফ থেকে এখনও সেই জাতীয় কোন দৃঢ় কোন কারন জানানো হয়নি।
নাকচ আবেদনে! আনিসুর প্রসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ে হতাশ সরকার। তাই আনিসুরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা প্রত্যাহার করলো না হাইকোর্ট। আদালত এও নির্দেশ দিয়েছে ইতিমধ্যে যদি আনিসুরকে জামিন দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে পুনরায় তাঁকে জেলে নিয়ে আসতে। এদিকে নির্বাচনের ঠিক আগে আগে রাজ্যসরকারের ঈহেন নির্দেশ ভাবাচ্ছে সব রাজনৈতিক মহলকেই। এমনিতেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই আনিসুর ২০১৯ এই দলবদল করে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তার পর দীর্ঘ কারাবাস। এখন ঘনিষ্ঠ শুভেন্দু অধিকারী যখন বিজেপিতে তখনই আনিসুরকে ছাড়াতে চাইছে শাসক দক। এই ঘটনা প্রতক্ষ্য বা পরক্ষ ভাবে নির্বাচনের ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলবে কিনা তাও ভাবাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল কে।