নজরবন্দি ব্যুরোঃ অব্যাহত করোনার দুর্বার গতি, করোনার বাড়বাড়ন্ত অবস্থা দেখে ঘোষণা করা হয়েছে এবার থেকে সপ্তাহে দুদিন সম্পূর্ন স্তব্ধ থাকবে রাজ্য। অর্থাৎ পূর্নাঙ্গ লকডাউন এবং যথারীতি রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোন গুলোতে বহাল থাকবে লকডাউনের বিধি। রাজ্যের হাতে গোনা ২ – ৩ টি জেলা বাদ দিয়ে সব জেলাতেই কার্যত বায়ুবেগে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। প্রায় প্রতিদিনই তৈরী হচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ড। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, হাওড়া বা দক্ষিন ২৪ পরগণার সাথে সম্প্রতি পাল্লা দিতে শুরু করেছে দার্জিলিং দক্ষিন দিনাজপুর বা মালদার মত উত্তরের জেলাগুলি। যদিও এত খারাপ খবরের মধ্যে সুখবর হল আজ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে র্যাপিড আন্টিবডি টেস্ট।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যবাসীর করোনা প্রতিরোধের ক্ষমতা জানতে শুরু হল র্যাপিড অ্যানিবডি টেস্ট।
অব্যাহত করোনার দুর্বার গতি, আজ রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৬১ জন! নতুন ২ হাজার ২৬১ জন আক্রান্ত কে নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৩০ জন।পাশাপাশি মৃত্যুমিছিলও অব্যাহত রয়েছে রাজ্যে। এদিনের বুলেটিনে রাজ্য সরকার জানিয়েছে সার্বিক ভাবে গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু বেড়েছে আরও ৩৫ টি। ৩৫ জন কে নিয়ে রাজ্যে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮২।পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্য জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬১৭ জন। এদিনের ১৬১৭ জন কে নিয়ে রাজ্যে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৮ হাজার ৩৫ জন। এদিন ১৬১৭ জন সুস্থ হয়ে রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৯.৬১ শতাংশ করোনা আক্রান্ত।
অন্যদিকে এই মুহুর্তে রাজ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৭ হাজার ৮১৩ জন।অর্থাৎ গতকালের থেকে চিকিৎসাধীন আক্রান্ত বেড়েছে ৬০৯ জন! পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় টেস্ট হয়েছে ১৩ হাজার ৬৪। এখন পর্যন্ত রাজ্যে সর্বমোট টেস্টের সংখ্যা ৭ লক্ষ ২৯ হাজার ৪২৯। প্রতি ১০ লক্ষ মানুষ পিছু রাজ্যে পরীক্ষা হয়েছে ৮ হাজার ১০৫ জনের। কার্যত করোনার তাণ্ডব রাজ্য জুড়ে!
প্রসঙ্গত গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ‘‘চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতি ও শনিবার সম্পূর্ণ লকডাউন। পরের সপ্তাহে আপাতত বুধবার সম্পূর্ণ লকডাউন।’’ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্যে কিছু জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’’ তার কথায়, ‘‘বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে আলোচনা করে ধারণা করা হচ্ছে যে, রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে।’’