নজরবন্দি ব্যুরো: ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও কমতে পারে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা! বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগ করা হলেও এই ভ্যাকসিনের ডুটি ডোজ নেওয়ার পরে ও অনেকের শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা কমতে শুরু করেছে তা নজরে এসেছে চিকিৎসকদের। তাই এই দুটি টিকা কে কেন্দ্র করে বিশেষ সমীক্ষা চালানো হয় আইসিএমারের তরফ থেকে।
আরও পড়ুনঃ ভবানীপুর ভোটের স্ট্র্যাটেজি এবার ‘দুয়ারে তৃণমূল’, মমতার ভরসা মহিলা ব্রিগেড
গবেষকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত যাদের শরীরে কোভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ২ মাস এবং যাদের শরীরে কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছে তাঁদের ভ্যাকসিন গ্ৰহনের ৩ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই অ্যান্টিবডি কমার লক্ষন দেখা দিয়েছে । তবে এই টিকা নেওয়ার দেড় দু বছর বছর পরও প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা থাকে, তা নিয়েই এখন গবেষণা শুরু করেছে তারা।
ভাবনায় বিশেষজ্ঞরা, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও কমতে পারে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা!
সম্প্রতি, ভুবনেশ্বেরে একটি দলের সদস্যদের অ্যান্টিবডির মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ২৩ শতাংশের শরীরেই কোনও আ্যান্টিবডি নেই। অথচ তাদের প্রত্যেকেরই ভ্যাকসিনের দুটি করে ডোজ় সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত ভারতে যে কোভিড ভ্যাকসিন রয়েছে তাদের কার্যকারিতা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। তাই এই পরিস্থিতিতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট চিকিৎসকদের সামনে না কোনো রকম ভাবেই আইসিএমআর বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হবে না চিকিৎসকদের।
যদিও এই নিয়ে আইসিএমআরের ডিরেক্টর সঙ্ঘমিত্রা পতি জানান, এরপর আবারও ৬ মাস পর টিকা গ্ৰহনকারীদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে দেখা হবে এবং সেই ফলের ভিত্তিতেই নির্বাচন করা হবে যে আদৌ বুস্টার ডোজের প্রয়োগ করা হবে কিনা