নজরবন্দি ব্যুরোঃ আমতলা পুরসভা গঠন ইস্যুতে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে। সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে, আমতলা এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিল।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের বাম আমলে আমতলা ও সন্নিহিত দশটি মৌজা (উদয়রামপুর, কৃপারামপুর, রামকৃষ্ণপুর, জয়রামপুর,মামুদপুর, কন্যানগর, বিষ্ণুপুর,সাফখালি,চকবাগী)-কে নিয়ে প্রস্তাবিত আমতলা পুরসভার তৈরীর প্রস্তুতি শুরু হয়। এরপর ২০১০ সালে তৎকালীন বাম আমলে রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পর এই পুরসভা গঠনের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জোরদার চর্চা শুরু হয়েছিল। সাধারণ মানুষের ভরসা ছিল রাজ্যে সরকার বদল হলে আমতলা এলাকা পুরসভায় রূপান্তরিত হবে।
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ২০১৪ বিধানসভায় ঘোষণা করেন রাজ্যে নতুন ২২টা পুরসভা গঠন করা হবে। তার মধ্যে আমতলা অন্যতম ছিল আমতলা। যদিও ওই ঘোষণা মোতাবেক ডোমকল,বুনিয়াদপুর, ফলাকাটা ও ময়নাগুড়ি ছাড়া আর কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। এরপর বয়ে গেছে বহু সময়। অবশেষে, ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই আমতলা পুরসভা গঠনের বিষয়টি পুনরায় অনুমোদিত হয় । এমনকি ততকালীন রাজ্যপালের তরফেও সম্মতি মিলেছিল।

প্রস্তাব পাশ হলেও এক অজ্ঞাত কারণে ওই প্রস্তাব কার্যকর করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি ছিল, অবিলম্বে পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ করে পুরসভা গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
এলাকাবাসীর কথায়, আমাদের এলাকার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা আছে। নিশ্চয়ই এই বিষয়ে এবার সচেষ্ট হবেন। আমরা আদালতের পাশাপাশি জেলা শাসককের কাছে আবেদন করেছিলাম, প্রস্তাবিত আমতলা পুরসভা এলাকাকে বাদ দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্ব সম্পন্ন করা জন্য। গত ১০ নভেম্বর এই সংক্রান্ত বিষয়ে মাননীয় জেলাশাসকের দপ্তরে শুনানি পর্ব সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।
আমতলা এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সংশয়, হাওড়ার মতোই অপেক্ষা করতে হবে

রাজ্য পুর দফতরের এক অতিরিক্ত সচিব জানান, আদালতে কোনরকম অস্বস্তিতে পড়তে হয় এমন কোনও রিপোর্ট রাজ্য সরকার জমা করতে আগ্রহী নন। তাঁরাও চাইছেন বিষয়টির একটি ইতিবাচক নিষ্পত্তি হোক। সেইমতোই রাজ্যের পুর দফতর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে বলে জানা গেছে।