নজরবন্দি ব্যুরোঃ শনিবার মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগে গ্রেফতার হন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। শনিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর জামিন পেলেন কৌস্তভ। তাঁর বাবা জানালেন আই ফিল প্রাউড ফর কৌস্তভ। যেভাবে ওকে মিথেয় অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে তাতে জামিন নিশ্চিত ছিল। রাত ৩ টের সময় পুলিশ পাঠানো হয়েছে তা অনৈতিক। ১০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাগরদিঘির ফলপ্রকাশের দিনেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর গাড়ির ড্রাইভারের আত্মহত্য়া, খুন নিয়ে যদি আমি বলি জোড়া খুন, কিছু বলতে পারবে? অনেক ঘটনা আমি জানি, আমার মুখ খোলাবেন না। এরপরেই সাংবাদিক বৈঠক করে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি বলেন, ‘দুটো হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়েছি। দীপক ঘোষ (মমতা কে নিয়ে যা লিখেছিলেন, তার সফট কপি চাইলেই যে কেউ পাবে। হুমকি ফোন আসছে। কোনও কিছু হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী থাকবে।
কৌস্তভের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৬, ৫০৯, ৩৫৪ এ এবং ১২০ বি ধারায় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা হয়। কৌস্তভকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে একযোগে সরব হয়েছে বাম ও কংগ্রেস। বড়তলা থানার সামনে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।

কৌস্তভের হয়ে সওয়াল জবাব করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টচার্য। তাঁর প্রশ্ন ছিল, মাঝরাতে একজন আইনজীবীকে তুলে আনা হল। পুলিশকে কে এই অধিকার দিয়েছে। তিনি কী কোনও সন্ত্রাসমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত? তাঁর বাড়িতে কিছু সন্ত্রাসমূলক কাজের হদিশ মিলেছে? আগামী দিনে বিচারকের ওপরেও হামলা হতে পারে।

একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, একটি বই বাজারে এসেছে, কৌস্তভ বাগচী সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর অতীত এবং বর্তমানকাল নিয়ে যেটা লেখা রয়েছে সেটাই বলেছেন। সেই বই বাজারে এখনও রয়েছে। সরকারের তরফে নিষিদ্ধ করা হয়নি। কোনও ৪১ নোটিশ পুলিশের তরফে কেন দেওয়া হল না?
জামিন পেলেন কৌস্তভ বাগচি, বিরাট ধাক্কা রাজ্য পুলিশের

তাঁদের বক্তব্য ছিল, বড়তলা থানার ওসি এবং যিনি মামলার তদন্তকারী অফিসার তাঁদেরকে আদালতে সশরীরে হাজির করা হোক। এরপর দেখা যাবে কোনও বিচারকের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তাঁকে তুলে আনতে পারে। তাঁকে মারধর করতে পারে। সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, কৌস্তভ বাগচী উদ্দেশপ্রণোদিতভাবে বেশ কিছু বক্তব্য পেশ করেছেন। তার এই মন্তব্যের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। তখন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের প্রশ্ন ছিল, যদি গণ্ডগোল হয়ে থাকে, তাহলে কেউ আহত হয়েছে, তারা কোথায়। পুলিশ কী কাউকে গ্রেফতার করেছে?