নজরবন্দি ব্যুরোঃ মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যায় একদম অন্য রূপে। এরআগে অনেকবার সরকারি আধিকারিক বা আমলাদের ওপর তিনি প্রকাশ্যে রেগে গেলেও এমন রাগ মুখ গোমড়া করে ১৭ মিনিট ধরে বসে থাকতে তাঁকে কোনদিনই দেখা যায়নি। বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তাঁর দেওয়া বস্ত্র না আসা অবধি তিনি বসে থাকবেন।
আরও পড়ুনঃ বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, হিঙ্গলগঞ্জে মিটিং থামিয়ে বসে পড়লেন মমতা
সরকারি কাজে যাতে সরকারি আধিকারিকরা কোনভাবেই ফাঁকি না দেন কিংবা নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে না যান তা আজ মুখ্যমন্ত্রীর আচরণেই স্পষ্ট। উল্লেখ্য, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আর তারআগেই মুখ্যমন্ত্রীর এই ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

এই বিষয়ে বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেছেন, আজ মুখ্যমন্ত্রী ক্যামেরার সামনে নাটক করেছেন। আর তাঁর এই নাটক মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। এরআগেও দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভায় ধমক দিচ্ছেন কিন্তু তিনি যা বৈঠকে বলছেন তা কিন্তু পরবর্তীতে পালন করা হয় না। তেমনি অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ধরা পড়ে যাচ্ছেন বলে তাই তিনি চুপ করে বসে নাটক করছিলেন। পুলিশ বাহিনী তো ওঁর দলের দুষ্কৃতীদের পাহারা দিতে দিতে ক্লান্ত। পুলিশকে তাই ধমক দিচ্ছে।
‘ক্যামেরার সামনে মুখ্যমন্ত্রীর নাটক’, কটাক্ষ বিরোধীদের
উল্লেখ্য, মমতাকে এদিন বলতে শোনা যায়,পুলিশ দোষ করলে, আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপে, সরকার দোষ করলে, আমার ঘাড়ে দোষ পড়ে, অথচ আমি কিছুই জানি না। এদিনের গোটা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মমতার এ বক্তব্যও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।