নজরবন্দি ব্যুরোঃ শিক্ষাঙ্গন এজেন্সি মুক্ত করে আমাদের বাঁচান, মুখ্যমন্ত্রী শেষ ভরসা বলছেন NSQF শিক্ষকরা। কিন্তু এই NSQF শিক্ষক কারা? এই ধরনের শিক্ষকেরা সরকারি বিদ্যালয়ে সাধারণ বিষয়ের পাশাপাশি IT/ITES, HEALTH CARE, CONSTRUCTION, AUTOMOTIVE, BEAUTY & WELLNESS, TRAVEL & TOURISM,RETAIL, PLUMBING ইত্যাদি বিষয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ান।
আরও পড়ুনঃ হোমের ১ তলা নির্মানে খরচ ৩.৪১ কোটি, ‘কাটমানি’ প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যকে তুলোধনা হাই কোর্টের!
শিক্ষকদের অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পরেও এই ধরনের শিক্ষকদের প্রতি মূহুর্তে রয়েছে চাকুরী হারানোর আশঙ্কা। বেতন সময় মতো পান না। কর্মহারা হয়ে দিনমজুরি করছেন বহু শিক্ষক। করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় দেড় বছর বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও এই শিক্ষকরা অনলাইন ক্লাস থেকে মিড ডে মিল এবং বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাজ করে আসছেন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। বেশীরভাগ বিদ্যালয় এই সমস্ত অস্থায়ী শিক্ষকদের উপর নির্ভর করে কারণ এঁরা বাংলার শিক্ষা পোর্টাল থেকে অনলাইনের যাবতীয় কাজ, এমনকি শিক্ষকদের অনলাইনের পেনশনের কাজও করে থাকেন।
মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং নিজেই এই কিছুদিন আগে নবান্নে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে SKILL এর উপর জোর দিতে বলেছেন, যেখানে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে ওই কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন ও বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এইধরনের শিক্ষকেরা বারংবার তাঁদের দপ্তরে জানানোর পরেও সুরাহা মেলেনি উল্টে বিভাগীয় দপ্তর থেকে তাঁদের কাছে হুমকি সহ চাকুরী থেকে দূরে বদলির নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে বলে অভিযোগ!
শিক্ষাঙ্গন এজেন্সি মুক্ত করে আমাদের বাঁচান, হুমায়ূন নয় মুখ্যমন্ত্রীর ওপরেই ভরসা শিক্ষিকদের!
বর্তমান বিভাগীয় মন্ত্রী হুমায়ূন কবীরের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলে দাবি শিক্ষকদের। তাই NSQF শিক্ষকদের একমাত্র ভরসা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে শিক্ষাঙ্গন এজেন্সি মুক্ত করে সরাসরি সরকারের আওতায় এনে নূন্যতম সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করেন। শিক্ষকদের দাবি, এর ফলে এজেন্সির কমিশন বেশ কয়েক কোটি টাকা সরকারের সাশ্রয় হবে এবং সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে আরো ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা বাড়বে।
শিক্ষাঙ্গন এজেন্সি মুক্ত করে আমাদের বাঁচান মুখ্যমন্ত্রী, মূলত এই আবেদন সামনে রেখেই আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিএম অফিসে পশ্চিমবঙ্গ NSQF শিক্ষক পরিবারের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দিলেন একদল শিক্ষক-শিক্ষিকা। মূলত ৩ টি দাবি নিয়ে এই শিক্ষকরা ডেপুটেশন দিয়েছেন জেলাশাসক কে।
১) সরকারী বিদ্যালয়ে এজেন্সি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ এবং এজেন্সি মুক্ত NSQF শিক্ষা করতে হবে।
২) সরাসরি সরকারের আওতায় এনে ৬০ বৎসর অবধি চাকুরী সুনিশ্চিত করে স্থায়ী চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকের মর্যাদা দিতে হবে।
৩) ছাত্র ছাত্রীদের স্বার্থে প্রতিটি বিদ্যালয়ে SKILL SUBJECT এর উপর জোর দিতে হবে এর ফলে স্কুল ছুট ছাত্র- ছাত্রীদের সংখ্যা কমবে। শিক্ষক শিক্ষিকারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে বলছেন, শিক্ষাঙ্গন এজেন্সি মুক্ত করে আমাদের বাঁচান, সামাজিক সুরক্ষা দিন!