নজরবন্দি ব্যুরোঃ এ যেন একেবারে হরিদ্বার! সেই পথেই এগোচ্ছে বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাতেই এ রাজ্যেও হরিদ্বারের মতো গঙ্গা আরতি শুরু হতে চলেছে। সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে এই নয়া উদ্যোগ। সেই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কলকাতায় গঙ্গার ঘাট পরিদর্শন করে তার ভোল বদলে দিতে চাইলেন রাজ্যের পুরো মন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ সুকান্ত আসতেই বিধানসভা ছাড়লেন শুভেন্দু, বিজেপিতে প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল!
মঙ্গলবারই বারো মন্দির ঘাটকে সন্ধারতির জন্য বেছে নিল কোন্নগর পুরসভা। এক সঙ্গে অনেক মানুষ বসে এই গঙ্গা আরতি দেখতে পারবেন। গায়ে লাগবে গঙ্গার পবিত্র হাওয়া। কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস এদিন নারকেল ফাটিয়ে, শাঁখ-ঘণ্টা বাজিয়ে গঙ্গা পুজোর মধ্য দিয়ে সন্ধ্যারতির কথা জানিয়ে দিলেন এলাকা বাসীকে। স্থানীয় মানুষ জনের মধ্যেও বিষয় টি নিয়ে আগ্রহ লক্ষ্য করা গেল।

প্রথমেই গঙ্গার পাড়ে মাপ জোপ নেওয়া হল। দুর্ঘটনা আটকাতে নেওয়া হবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা, গঙ্গার ঘাটে দেওয়া হবে লোহার রেলিং। আগামী বৃহস্পতিবার প্রতিপদ থেকে সন্ধ্যারতি শুরু হবে। বারো মন্দিরের পুরোহিত শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘গঙ্গার পশ্চিমকুল বারাণসী সমতুল। বারো মন্দিরে বারোটি শিবলিঙ্গ আছে। বহু প্রাচীন এই ঘাট। কোন্নগর পুরসভা থেকে যে সন্ধ্যারতির ব্যবস্থা করা হয়েছে তা খুবই ভাল। গঙ্গোত্রী থেকে সৃষ্টি হয়ে উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড হয়ে পশ্চিমবঙ্গে সাগরে মিশেছে গঙ্গা। গঙ্গা আরাধনার জন্যই এই গঙ্গা আরতি।’
মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় বাংলা হবে নয়া হরিদ্বার, সন্ধ্যা আরতির শুরু বারো মন্দির ঘাটে
কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস বলেন, কোন্নগরের প্রাচীন বারো মন্দির ঘাটে মহাদেবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ আছে যার একটা মাহাত্ম্য রয়েছে তাছাড়া প্রতি সন্ধ্যায় এই ঘাটে জন সমাগম হয়, এই জন্য এই ঘাটটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরনাতেই এই আয়োজন তারা করেছেন বলে জানা গেছে। অবশ্য যাদের হরিদ্বার যাওয়ার সাধ্য নেই তারাই যেতে পারবেন কলকাতা সংলগ্ন এই নয়া হরিদ্বারে।