নজরবন্দি ব্যুরো: “আমি এখানে কোনও রকমের রাজনীতি করতে আসিনি! অনেকেই এখন রাজনীতি-জলঘোলা করেছে! কিন্তু আমি আজ মানবিক সাহায্যের হাত বাড়াতে এসেছি।” এগরার খাদিকুলে পৌঁছে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এমটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Abhishek-এর কনভয়ে হামলা! গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আটক ৪
ইতিমধ্যেই এগরার খাদিকুলে সভাস্থল নিরাপত্তায় মোড়া হয়েছে। সেখানে এসে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এসেছেন নিহতদের পরিবার। পাশাপাশি রয়েছেন এডিজি সিআই এফ জ্ঞানবন্ত সিং, ডিআইজি মেদিনীপুর প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিরেক্টর সিকিউরিটি, এসপি, ডিএম-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এদিন সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “আমি জানি যখন পরিবারের কেউ চলে যায়, তখন পুরো পরিবারকে ফেলে রেখে যায় দুর্দশায়। এখন অনেকেই এটাকে নিয়ে রাজনীতি করবে। কিন্তু আজ আমি রাজনীতি করতে আসেনি। সাহায্যের হাত বাড়িতে দিতে এসেছি। যারা মারা গিয়েছে সেই পরিবারগুলোকে আজকে আড়াই লক্ষ টাকা করে চেক দিচ্ছি। পরিবারের একজন করে হোমগার্ডের চাকরি দিচ্ছি।”

উল্লেখ্য, শনিবার, ২৭ মে দুই মেদিনীপুরেই কর্মসূচী রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথমে এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণস্থলে গেছেন তিনি। আর তারপরেই তিনি সেখান থেকে চলে যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি। আর সেখানে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি।
অন্যদিকে, শুক্রবার শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। শালবনিতে অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়! এরপরেই তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ৪৮ ঘণ্টার ডেড লাইন পেরোনোর আগেই তৎপর পুলিশ। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কনভয় হামলা ও মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ৪ জন যুবকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মতো জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই আটক হওয়া যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তবে এবার শুক্রবার রাতেই ঘটনা নিয়ে কি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? সেই দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের!