নজরবন্দি ব্যুরো: ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক দেশবাসী পাবেন করোনার টীকা, দাবি কেন্দ্রের। বেশ কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে দাবি করা হয়েছে, এই বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ২১৬ কোটি ডোজ তৈরি হয়ে যাবে। কীভাবে তা তৈরি হবে, সেই ব্যাপারেও ইতিমধ্যে তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই মে মাসে শেষ দিকে দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছে, কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন এবং স্পুটনিক-ভি ছাড়া বাকি টিকাগুলির এখনও ছাড়পত্রই আসেনি।
আরও পড়ুনঃ গার্গল করে ৩ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা, অভিনব টেস্ট কিটে অনুমোদন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের।
যদিও দিন কয়েক আগে কেন্দ্রে জানায়, বর্তমানে দেশে প্রতি মাসে ৬ কোটি ৩০ লক্ষ করোনার টিকা উৎপাদন হচ্ছে। জুলাই মাস থেকে যা বৃদ্ধি পেয়ে ১২ কোটি হবে। অঙ্ক হিসাব অনুসারে, এই হিসাবে এই বছরে মোট ৭২ কোটি টিকা উৎপাদন হওয়ার কথা। সেখানে কেন্দ্র ২১৬ কোটি টিকার হিসাব কোথায় পাচ্ছে, তা বলা বিশেষজ্ঞদের কাছে বেশ মুশকিল। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই করোনার টিকা পাবেন প্রত্যেক দেশবাসী। এবার ফের দাবি করল কেন্দ্রের সরকার। টিকা নিয়ে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে শুক্রবার এই দাবি কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকরের।
তিনি দাবি করেছেন, “ডিসেম্বরের মধ্যেই সবাই টিকা পেয়ে যাবেন।”রাজনৈতিক মহলের মতে, টিকা নিয়ে কেন্দ্রের এই দাবি নতুন নয়। এর আগে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও একই দাবি করেছিলেন। তবে, কীভাবে টিকার কাজ শেষ হবে সেই রূপরেখা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে ব্যর্থ হন তিনি।
৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক দেশবাসী পাবেন করোনার টীকা, দাবি কেন্দ্রের। তবে এদিন জাওড়েকর বলেন, “ভারতে টিকাকরণ ২০২১ সাল শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এবিষয়ে ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। যাতে ১০৮ কোটি দেশবাসীর জন্য ২১৬ কোটি টিকার ডোজ দেওয়ার কাজ ডিসেম্বরের মধ্যেই হয়ে যাবে।”
