নজরবন্দি ব্যুরোঃ ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে আছেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ইডির তরফে ১৪ দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সেই আবেদন মেনে নিয়েছে। এদিকে কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হতেই সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর নিশানায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। কালীঘাটের কাকু’র গ্রেফতারির প্রসঙ্গে জোর গলায় তাঁর দাবি, “কোমরের ওপর উঠে গেছে, হৃদয় এসে গেছে, এবার মাথা ধরতে হবে।” এদিন শুভেন্দুর সেই বক্তব্যের পালটা দিলেন অভিষেক।
আরও পড়ুনঃ গরুপাচারকাণ্ডে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ ২ চালকল ব্যবসায়ীকে তলব CBI-এর
নবজোয়ার কর্মসূচীতে আজ নন্দীগ্রামে মিছিল করছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। চন্ডীপুর ক্যাম্প থেকে নন্দীগ্রামের সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড ক্যাম্প অবধি পদযাত্রা করবেন তিনি। আর এই ২০ কিমি পদযাত্রায় তিনি একাধিক স্থানে থামছেন, বক্তব্য রাখছেন। এদিন শুভেন্দুকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘আগামী দিনে এই সিবিআই-ই ব্যবস্থা নেবে, জেলে যেতেই হবে। বিজেপি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার একমাসেই হাতকড়া পরিয়ে জেলে ঢোকাব। বিচারব্যবস্থা নিরপেক্ষ হলে একমাসের মধ্যে জেলে যাওয়া আটকাতে পারবে না।’

এদিন ট্যুইট বার্তায় অভিষেক জানান, ‘বিজেপির শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। আসন্ন ৫ রাজ্যের নির্বাচনে সবকটিতেই হারবে বিজেপি। মানুষ বুঝে গেছে, বিজেপি সারা দেশে কী ভাবে সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্র নষ্ট করছে। মানুষের ভালবাসায় বাংলায় জনসংযোগ যাত্রা, জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে।’
CBI-দিয়ে শুভেন্দুকে জেলে ঢোকাবেন, কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিষেক
উল্লেখ্য,’কালীঘাটের কাকু’র গ্রেফতারির প্রসঙ্গে এবার মাথা আসবে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। জোর গলায় তাঁর দাবি, “কোমরের ওপর উঠে গেছে, হৃদয় এসে গেছে, এবার মাথা ধরতে হবে। আর মাত্র একটা ধাপ, কান ধরলে মাথা এমনিই আসবে।” লিপস অ্যান্ড বাউন্স কোম্পানি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের। ফলে পরিষ্কার এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীও এর সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করেন। যার সিইও ছিলেন এই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। এই কাকুর হাত দিয়েই নাকি তৃণমূলের যুবর রেজিস্ট্রেশন, এ-ও দাবি করেন শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল সুজয়কে। তার আগে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে টানা ১১ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। জেরা চলাকালীন তিনি কিছু খেয়েছিলেন কি না, জানা যায়নি। তবে গ্রেফতারির পর থেকে সুজয় কিছু খাচ্ছেন না বলেই বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে জানিয়েছিল ইডি। বিচারককে ইডির আইনজীবী এ-ও বলেছিলেন যে, উনি কিছু না খেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। সে ক্ষেত্রে সুজয়ের জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ থাকবে বলে মনে করছেন ইডির আধিকারিকেরা। এর ফলে তদন্তও ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।