নজরবন্দি ব্যুরোঃ শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির জালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই মুহুর্তে কারাবাসে রয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে তদন্ত কতদূর? সবটা আদালতে জানাল সিবিআই। এদিন মুখবন্ধ খামে কাদের নাম? তা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুনঃ SSC চাকরিপ্রার্থীদের সাথে বৈঠক কি আইওয়াস? আদৌ নিয়োগ পাবেন আন্দোলনকারীরা?
বাড়তি নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে মানা হয়নি নিয়ম। নিয়োগের ক্ষেত্রে চুড়ান্ত বেনিয়মের অভিযোগ উঠতেই টেট মামলা ফের গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তাহলে যোগ্য প্রার্থী কারা ছিলেন? বিষয়ে পর্ষদের কাছে কাছে কাট অফ মার্কস এবং সংরক্ষণের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যার জন্য দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরই মধ্যে সিবিআইয়ের নয়া রিপোর্ট ঘুরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই আধিকারিকদের নিয়ে এসআইটি গঠন করা হবে। এই ধরনের টিমে থাকা সদস্যরা শিক্ষক নিয়োগ মামলা ছাড়া অন্য কোনও মামলার সঙ্গে যুক্ত হবেন না। এমনকি এসআইটির সদস্যদের কোনও ভাবেই বদলি করা চলবে না।
বিচারপতির বক্তব্য ছিল, বিচারপতির মন্তব্য, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সিবিআই এক সপ্তাহে যে কাজ করেছে, স্কুল আর্ভিস কমিশনের ক্ষেত্রে কোনও অগ্রগতি হচ্ছে না। সিবিআইয়ের কর্মকাণ্ডে তিনি যেন আশাহত না হন।
মুখবন্ধ খামে কাদের নাম? জল্পনা বেড়েই চলেছে

গত কয়েক মাস ধরে প্রাথমিক শিক্ষক মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এরই মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল অঙ্কের টাকা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপয়ারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে বারবার ইডি দফতরে দিচ্ছে হচ্ছে। এরই প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে সিবিআইয়ের রিপোর্টে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।