নজরবন্দি ব্যুরো: জেল থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আদালতে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষ! আর সেই চিঠি সংক্রান্ত বিষয়ের জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত! যার জেরে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু সেই চিঠি নিয়ে এখনও জল্পনা শেষ হয়নি!
এবার সেই জল্পনার জেরেই হিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, বুধবার জেলে পৌঁছে যান সিবিআই-এর দুই অফিসার। জেলের অন্দরের একটি ঘরে বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষকে সিবিআই-এর ডিএসপি ও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার দুই অফিসার জিজ্ঞাসাবাদ করতে পৌঁছায় বলে সূত্রের খবর জানা যায়।

উল্লেখ্য, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেই অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। এরপরেই শুরু হয়, রাজনৈতিক শোরগোল! তারপরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন। এখানেই শেষ নয়, যার জেরে ওই মামলা থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে।
এরপরে অভিষেকের মামলায় রায়দান ছিল। সেই রায়দানে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান যে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা বহাল রইল। অর্থাৎ আদালত জানায় যে, কুন্তল ঘোষের চিঠি কাণ্ডে ইডি সিবিআই চাইলে অভিষেককে জেরা করতে পারবে। শুধু তাই নয়, আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে অবিলম্বে ২৫ লক্ষ টাকা করে অর্থাৎ মোট ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন বিচারপতি। তারপরেই সিবিআইয়ের তলবে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচী স্থগিত রেখেই পৌঁছে গিয়েছিলেন নিজাম প্যালেসে।