নজরবন্দি ব্যুরো: ক্রমশ ঘনাচ্ছে কসবায় ছাত্রমৃত্যুর রহস্য! এবার কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর মামলায় উঠছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। মৃতছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, পুলিশ এই ঘটনায় সহযোগিতা করছে না। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই হাইকোর্টে দায়ের করা হল মামলা। ইতিমধ্যেই এই মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal-র জামিন মামলায় CBI-কে নোটিস, তদন্তের গতি জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট
মামলাকারীর অভিযোগ, পুলিশ ৪ সেপ্টেম্বরের ঘটনার সময়ের স্কুলের সঠিক সিসিটিভি ফুটেজ পরিবারকে দিচ্ছে না। এমনকি পুলিশের কাছ থেকে বারংবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চাওয়া হলেও তাতে কোনও লাভ হচ্ছে না। তাছাড়াও যেখানে ইনকোয়েস্ট ঘটনার পরেই হওয়ার কথা। কিন্তু এই ঘটনায় হয়েছে মৃত্যুর পরের দিন। তাই এবার আদালতে দ্বিতীয় ময়না তদন্ত ও নতুন করে ইনকোয়েস্ট করার আবেদন জানিয়ে ম,মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার হাইকোর্টে এই মামলাটি শুনবে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার কসবা রথতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি স্কুল চলাকালীন স্কুলের ৫ তলা থেকে পড়ে যায় দশম শ্রেণির এক ছাত্র। এরপরেই তড়িঘড়ি করে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু কিভাবে ওই ছাত্র পড়ে গেল? কিভাবে মৃত্যু হল ওই ছাত্রের? একাধিক প্রশ্ন উঠছে! রীতিমত ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য!
যদিওবা এই ঘটনায় ছাত্রের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলের উপর প্রথম থেকেই একাধিক কারণে ক্ষোভ ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের। একটি প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল ওই ছাত্রের। দিতে পারেনি বলে ওকে খুব বকাবকি করা হয়েছিল। কান ধরে দাঁড় করিয়েও রাখা হয়েছিল সবার সামনে। আর এতেই খুব অপমানিত বোধ করেছিল। শিক্ষক ওর উপর মানসিক চাপ দিতেন মৃত ছাত্রের বাবার দাবি, আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।
এদিকে, ওই মৃত ছাত্রের এক সহপাঠী জানায়, “সোমবার দুপুরে প্রজেক্ট নিয়ে সমস্যা হওয়ার কারণে ম্যাম ওকে ডেকে নিয়ে যান। তবে বেশ অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পরেও ও ক্লাসরুমে ফেরেনি। এর পরেই হঠাৎ জোরে আওয়াজ শুনতে পাই। পরে এক দাদা আমাদের এসে বলে যে, ও ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে। তারপরেই একজন ম্যাম তখনই আমাদের ক্লাসরুমে এসে সকলকে শান্ত হয়ে থাকতে বলেন। ম্যাম বলেছিলেন, “পড়লে আবার কী হবে, হাত-পা ভাঙবে!” পাশাপাশি আমরা যাতে কিছু না বলি, সেটাও বলা হয়েছিল আমাদের।”