নজরবন্দি ব্যুরোঃ ডিএ মামলায় রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত এবং বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। এই নিয়ে তৃতীয়বার আর্জি খারিজ করল আদালত। রাজ্যের পুনর্বিবাচনার আর্জি খারিজ। এদিন রায় গেল কর্মচারীদের পক্ষে৷

আরও পড়ুনঃ বাংলার মাটিতেই বাংলা সিনেমা আক্রান্ত, মন্ত্রীর দরবারে স্মারকলিপি বাংলা পক্ষর।

২০১৬ সালে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে মামলা শুরু হয়েছিল স্যাটে। স্যাটের বক্তব্য ছিল, মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মীদের আইনত অধিকার । স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় ২০১৮ সালের আগস্টে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ন্যায্য অধিকার। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই রায় মানতে চায়নি। পালটা হাই কোর্টের সেই রায়ের রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হয় রাজ্যের তরফে।

রাজ্যের পুনর্বিবাচনার আর্জি খারিজ, বিরাট চাপে সরকার 
রাজ্যের পুনর্বিবাচনার আর্জি খারিজ, বিরাট চাপে সরকার 

হাই কোর্ট মামলা ফিরিয়ে দেয় স্যাটের হাতে। স্যাট সেই রিভিউ মামলায় ২০১৯ সালের জুলাই মাসে জানিয়ে দেয়, ডিএ সরকারি কর্মীদের অধিকার। তিন মাসের মধ্যে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে। গত মে মাসেই এই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত এবং বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ৷

কিন্তু তিন মাস পরেও বকেয়া ডিএ না মেলায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছিল রাজ্যের একাধিক সরকারি কর্মচারি সংগঠনগুলি। সেই মামলা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। বৃহস্পতিবার সেই পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে পুজোর মুখে রাজ্যের জন্য বিরাট ধাক্কা।

রাজ্যের পুনর্বিবাচনার আর্জি খারিজ, বিরাট চাপে সরকার 

রাজ্যের পুনর্বিবাচনার আর্জি খারিজ, বিরাট চাপে সরকার 
রাজ্যের পুনর্বিবাচনার আর্জি খারিজ, বিরাট চাপে সরকার 

কারণ, এর আগে অবশ্য আদালতের কাছে রাজ্যের তরফে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছিল, পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারিরা। তাদের কোনও বকেয়া ডিএ নেই। এখন রাজ্যের তরফে বকেয়া ডিএ নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়? সেটাই দেখার।