নজরবন্দি ব্যুরো: ইন্ডিয়া না ভারত? কোন নামে পরিচয় পাবে দেশ? সম্প্রতি এই বিতর্ক চরমে উঠেছে। যে কোনও সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক ইস্যুতে বরাবরই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে বলিউড পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপকে। এই বিতর্কের সময়েও তার অন্যথা হল না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করলেন তিনি।
আরও পড়ুন: অ্যাক্টিভ থিয়েটার বরানগর আয়োজিত নাটক ‘ভন্ড’, অনুপ্রেরণা জোগাবে বহু নাট্যদলকে
জি-২০ সম্মেলনের সময় থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি আয়োজিত নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে লেখা ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে লেখা ছিল ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। এমনকি সম্মেলনের সময়েও মোদীর নামফলকে দেখা গিয়েছে ‘ভারত’ নাম। তবে কি ইন্ডিয়া নাম মুছে ফেলা হবে। দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের একাংশের সমর্থন এলেও অনেকেই এই জল্পনার বিরোধিতা করছেন। সেই দলেরই একজন অনুরাগ কাশ্যপ। তিনি এই নাম বদলের প্রসঙ্গে বলেন, “এতে তো বিশাল পরিমাণ করের অর্থ খরচ হবে। সমস্ত সরকারি নথিপত্র পরিবর্তন করতে হবে। যেটা ভীষণই অযৌক্তিক!”
পরিচালকের কথায়, “কবে ইন্ডিয়া ভারত ছিল না? একটা কাগজে ইন্ডিয়ার পরিবর্তে এখন থেকে ভারত লেখা হবে ব্যস! আর শুধু ভাবুন, সমস্ত সরকারি নথিপত্রতে নতুন করে আবারও নাম লেখা হবে। দেশবাসীকে নিজেদের পাসপোর্ট, আধার কার্ড, রেশন কার্ড সবকিছু নতুন করে তৈরি করাতে হবে। নতুন করে নোট ছাপাতে হবে। আর জনগণের চার বছরের করের টাকাতেই এটা করবে ওঁরা। আমজনতারও কতটা ঝক্কি! একটা খামখেয়ালি লোক নিজের খেয়ালে এসব করেন, এর পরিণতি কী হবে সেটা উনি ভেবেছেন কখনও?”
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে মোদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করতে দেশের বিরোধী দলগুলি এক জোট হয়েছে। এই বিরোধী জোটের আম রাখা হয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স অথবা ‘ইন্ডিয়া’। বিরোধী জোটের নাম নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল বিজেপি। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধী জোটকে আক্রমণ করতে ময়দানে নেমেছিলেন। কেন্দ্রের দাবি ছিল, বিরোধীরা দেশের নামের অপব্যবহার করছে। এরপরই শুরু হয় ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্ক।
‘একটা খামখেয়ালি লোক নিজের খেয়ালে এসব করেন’, দেশের নাম বিতর্কে মোদীকে নিশানা অনুরাগের
