নজরবন্দি ব্যুরো: অপসারণের পরই বিজেপি স্বাগত জানাল শিশির অধিকারীকে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে শিশির অধিকারীর অপসারণ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তৃণমূলের একাংশের দাবি, ছেলে শুভেন্দুই মুখ পুড়িয়েছে বাবার। তাই এমনটাই স্বাভাবিক। তবে এসবের মধ্যেও তৃণমূল নেতা কিন্তু কোনরকমে দায় এড়ালেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কিছুই জানা নেই’। এদিকে জল্পনা ছড়িয়েছে শুভেন্দুর দলেই নাম লেখাতে চলেছেন শিশির।
আরও পড়ুন: দমদম বিমান বন্দরে নামল বহু প্রতীক্ষিত করোনা ভ্যাকসিন।
অপসারণের বিষয়টি জানাজানি হতেই বঙ্গ বিজেপির নেতাদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা বলেন, “শুভেন্দু এসেছেন এটাই আমাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। ওঁকেও আমন্ত্রণ জানাব। আসবেন কি না সেটা ওঁর সিদ্ধান্ত।” প্রসঙ্গত, এদিন শিশির ছাড়া সরানো হয়েছে তমলুক পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন ও এগরা পুরসভার প্রশাসক শংকর বেরাকেও। সূত্রের খবর, এই দু’জনই শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তবে কি সেই কারণেই এই অপসারণ? তা নিয়েও শুরু জল্পনা। উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগের পরই তাঁর বাবা, দাদা ও ভাইয়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। পরবর্তীতে ভাই সৌমেন্দুও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এবার বাবাও কী সেই পথই বেছে নেবেন?
অপসারণের পরই ‘বিজেপি’ স্বাগত জানাল শিশিরকে। সোমরাতে রাতে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে শিশির অধিকারীকে অপসারণের নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য। দায়িত্ব দেওয়া হয় অখিল গিরিকে। রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নানা কানাঘুষো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এবিষয়ে অখিল গিরি বলেন, “শিশিরবাবু কোনওদিন কোনও কাজ করেননি। সেই কারণেই সম্ভবত এই সিদ্ধান্ত।” ছেলের কারণেই আজ শিশিরবাবুকে এহেন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল। কুণাল ঘোষ বলেন, “ছেলের জন্য শিশিরদা অত্যন্ত লজ্জিত।” অস্ত্রোপচারের কারণে বর্তমানে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভরতি শিশিরবাবু। সেখান থেকে এই অপসারণের বিষয়ে কিছু জানা নেই বলেই জানান তিনি। পাশাপাশি তৃণমূলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দলে অনেকদিন ধরেই কোনও গুরুত্ব পাচ্ছিলাম না।”